বর্ষার আর্বিভাবে দুঃখ যেন
মেঘলা আকাশের বৃষ্টি হয়ে
যখন তখন আসে আর যায়
মনে হয় এ বৃষ্টি শুধু আমার।
অসহায় আত্নার ক্রন্দনে প্লাবিত
চারিদিক, শুধু হতাশার নদী
গুমরে গুমরে প্রবাহিত হয়
আছড়ে পড়ে অনুভব আর স্বপ্নে।
নিরাক আসরে অবুঝ স্বপ্ন
নিয়ত নিভৃতে ক্ষয়ে যায়,
তবুও জাগে তোমার পাওয়ার ইচ্ছা
তুমি ধরায় কেন আসো না।
বর্ষা কখনও দেখি তুমি ঐ নদী
পাহাড় থেকে আসা জোয়ারের স্রোত,
ইশারায় ডাক দিয়ে যাও
সকাল সন্ধ্যা বেলায়।
বর্ষা তুমি আসবে বলে
সময়ের পালা বদলে অধিক উল্লাস
নিয়ে নারী পুরুষ ধর্মে বর্ণে হয়ে
যায় মিলে মিশে একাকার।
বর্ষা তুমি আসো এ ধরায়
ইথারের কন্পনে, বাতাসের অনুভবে
তোমার আগমনে রাতের শেষে জেগে
দেখবো, ঘাসের বুকে বিন্দু বিন্দু জল।
বর্ষা তুমি কান্খিত বৃষ্টি দাও
পৃথিবীর তৃষ্ণা মিটে যাক
মরুভূমি হয়ে উঠুক উর্বর
কৃষকের লাঙ্গলের ফলায়
ভরে উঠুক সোনালী ফসল।
বর্ষা পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি
তুমি এসেছো, আকাঙ্ক্ষার দোলায়
প্রতিনিয়ত নাচতে থাকি শিশুদের মতো,
বিভোর হয়ে দেখি তোমার দানে
প্লাবিত নদী নালা ভরপুর।
হে বর্ষা তোমার আগমনে কন্পিত নয়নে
চেয়ে দেখি অপরূপ হে সুন্দর, এই চোখে
সকলই দেখি নিয়ত নিত্য, অথচ
তোমাকে দেখি জলে, স্হলে আর
নিজের অজান্তেই ডুবিয়ে তুলি
চরণদুটি তোমার পবিত্র ঢেঁউয়ে।