আজ সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস, এখনো হয়নি টেকসই বেড়িবাঁধ

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট
আজ সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস। এদিন ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের পাশাপশি প্রায় ২০ ছুট উচ্চতার জলোচ্ছাসে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় খুলনা ও রবিশাল বিভাগের উপকূলীয় সব জেলা।

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলাতেই প্রাণ হারায় ১১০০ উপর মানুষ। এরমধ্যে সাউথখালী ইউনিয়নেই ৮ শতাধিক মানুষ মারা যায়। পাশাপাশি বিধ্বস্ত হয় হাজার-হাজার ঘরবাড়ি, মারা যায় লক্ষাধিক গবাদি পশু।

উপড়ে যায় অসংখ্য গাছপালা। বিরান ভূমিতে পরিনত হয় শরণখোলা। ঝড়- জলোচ্ছ্বাসের মৃত্যুকূপ হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি পায় বাগেরহাটের সাউথখালী ইউনিয়ন। আজও এই এলাকার মানুষ সিডরের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। এখনো ঘূর্ণিঝড় ধেঁয়ে আসার খবরে আতংকিত হয়ে পড়ে এই জনপদের মানুষ। ১৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও সুপার সাইক্লোন সিডর বিধ্বস্ত এলাকায় নির্মাণ করা হয়নি পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ। বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, রামপালসহ উপকূলীয় সিডর বিধ্বস্ত জেলাগুলোর মানুষ আজ প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারানো স্বজনদের স্বরণে মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও স্বরণসভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করছে।
প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরই নয়, গত ৫০ বছরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ৬০টি ঘূর্ণিঝড়ের ৩৬টিই দেশের উপকূলে আঘাত হানে। ব্যাপক প্রাণহানীসহ লণ্ডভণ্ড করেছে উপকূলীয় জনপদ। সিডরে ব্যাপক প্রাণহানীর পর ২০১৬ সালে সরকার বাগেরহাটের শরণখোলায় লোকজনের প্রাণহানী থেকে রক্ষায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৩ কিলোমিটার টেকসইবাঁধ নির্মাণ শেষ হবার আগেই ২৫ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় এলাকার লোজকন এখন বলেশ্বর নদ শাষন করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights