এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন সাকিব!
অনলাইন ডেস্ক
সাকিব আল হাসানের জন্য সময়টা ভালো যাচ্ছে না সেটা নিশ্চিত। ক্যারিয়ারের একেবারেই শেষ পর্যায়ে এসে ত্রুটি ধরা পড়েছে তার বোলিং অ্যাকশনে। সারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে সাকিবের। এরপর থেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তিনি খেলে যাচ্ছেন পুরোদস্তুর ব্যাটার হিসেবে।
বোলিংয়ে ফিরতে প্রথমে পরীক্ষা দিয়েছেন বার্মিংহামে। সেখানে ফলাফল আসেনি পক্ষে। দেশের একটি গণমাধ্যমকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের এক বিশ্বস্ত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সাকিব অবশ্য হাল ছাড়েননি। চেন্নাইতে কদিন আগে আরেকবার বসেছিলেন পরীক্ষা দিতে। দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও পাশ করতে পারেননি বাংলাদেশের শীর্ষ অলরাউন্ডার।
এ কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার থাকা এবং না থাকা নিয়ে শুরু হবে বিস্তর আলোচনা। তবে এরচে বড় খবর, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, পরপর দুই পরীক্ষায় বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিযুক্ত হলে এক বছরের মধ্যে ওই বোলার বল করতে পারবেন না।
অবশ্য নিয়ম অনুযায়ী, যদি নির্দিষ্ট কোনো ডেলিভারিতে সমস্যা থাকে তাহলে ওই ডেলিভারি বাদ দিয়ে বল করে যেতে পারবেন তিনি। পরীক্ষায় ত্রুটি ধরা পড়া সে ডেলিভারি শোধরানোর আগ পর্যন্ত তিনি ম্যাচে তার প্রয়োগ করতে পারবেন না। ম্যাচে যদি ত্রুটিপূর্ণ ডেলিভারিটি করেন, তাহলে এক বছরের জন্য বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হবেন। তবে এ সময়ে তিনি ব্যাটার হিসেবে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন।
এক বছর পর ফের আইসিসি স্বীকৃত পরীক্ষাগার থেকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হলে বোলিংয়ে আর কোনো বাধা থাকবে না।
এদিকে শঙ্কা তৈরি হয়েছে তার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে থাকা নিয়ে। আগামী ১২ জানুয়ারি প্রাথমিক স্কোয়াড জমা দেওয়ার শেষ সময়। সাকিব আল হাসান যদি বোলিং অ্যাকশন নিয়ে এরইমাঝে সবুজ সংকেত না পেয়ে থাকেন, তবে তাকে স্কোয়াডে দেখতে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ জানুয়ারি আইসিসির কাছে প্রাথমিক স্কোয়াড পাঠাতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে থাকা দলগুলোকে। যদিও ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দলগুলো নিজেদের স্কোয়াডে ইচ্ছেমতো পরিবর্তন আনতে পারবে। তবে এরপর থেকে কোনো পরিবর্তন আনতে হবে আইসিসির টেকনিক্যাল কমিটির অনুমতি দরকার হবে।