এখন কী করবে বাফুফে
ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাফল্যের জন্য নারী জাতীয় দলের ফুটবলাররা একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। এ শুধু নারী নয়, দেশের ফুটবলের জন্য গৌরবের। কেননা, এর আগে দলীয়ভাবে ফুটবলাররা এত বড় সম্মান পাননি। যোগ্যতায় এ বিরল অর্জন। নারী দল একুশে পদক পাওয়ায় ক্রীড়ামোদীরাও খুশি। তার পর আবার অন্য বিষয় নিয়ে চিন্তিতও বলা যায়। কেননা, কোচ ও খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় নারী জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে বাফুফে এখনো সমস্যা সমাধান করতে পারেনি। বরং উত্তপ্ত পরিবেশ আগের মতোই রয়েছে। নারী দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের একটাই দাবি- কোচ পিটার বাটলার থাকলে তারা ফুটবলের কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না। সমস্যা দেখার পরই ইমরুল হাসানকে প্রধান করে সাত সদস্যের বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটি আন্দোলনরত সব ফুটবলার ও কোচ বাটলারের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেছে। এখানে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে এবং এর সমাধান কী, সবকিছু বিশ্লেষণ করে রিপোর্টও তৈরি করেছে কমিটি। তা সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কাছে জমাও দেওয়া হয়েছে। সভাপতি রিপোর্ট দেখে আন্দোলনরত ফুটবলারদের সঙ্গে বসেছিলেন। তিনি সবাইকে অনুরোধ করেন রাগ-অভিমান ভুলে অনুশীলনে ফিরতে। তিনি এটাও বলেন, কোচ কড়া মেজাজে কথা বললে এর পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের ফুটবলের অভিভাবক এমনভাবে বোঝানোর পরও বরফ গলেনি। তবু সাবিনাদের একটাই কথা- কোচ থাকলে তারা অনুশীলনে যাবেন না। তাহলে বাফুফে এখন কী করবে। অতীতে বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য ফুটবলারদের শাস্তি দেওয়া হলেও সভাপতি কোনোভাবেই চাচ্ছেন না এ পথে হাঁটতে। এখন তাঁরই বা কী করার আছে। তাহলে এমন এলোমেলো অবস্থাতেই পড়ে থাকবে কি নারী ফুটবল?
সামনে আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ। আন্দোলনের কারণে প্রশিক্ষণে নেই মেয়েরা। দলও চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলতে পারবে কিনা এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কেননা নতুনদের নিয়ে দল গড়া মানেই সিনিয়রদের বাদ দেওয়া।