ওরা সবাই ছুটছেন

আলী হাসান নামের এক বাংলাদেশি র‌্যাপার ঘোষণা করেছেন তিনি আর গান গাইবেন না; কারণ তিনি মনে করছেন গান গাওয়া হারাম। তিনি আরও ঘোষণা করেছেন, তিনি ব্যবসা করেন, সেই ব্যবসার টাকায় খাবেন, আর গান গেয়ে যে টাকা কামিয়েছেন সেই টাকায় বাড়ি বানাবেন। তিনি যদি সত্যিই মনে করেন গান গাওয়া হারাম, তাহলে হারাম টাকায় যে বাড়ি বানাবেন, সেই বাড়িতে বাস করাও তো হারাম। শুধু হালাল টাকায় খেতে হবে, এবং হারাম টাকায় বাকি সবকিছু করতে হবে, এ তো তাঁর প্রভুকে ফাঁকি দেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়। প্রভু কি শুধু কোন টাকায় খাবার কেনা হচ্ছে সেটা দেখেন? তিনি তো সবকিছুই দেখেন। তিনি তো দেখেন কোন টাকায় কেনা বাড়িতে থাকা হচ্ছে, কোন টাকায় জামা-কাপড়, আসবাবপত্র কেনা হচ্ছে, কোন টাকায় ভ্রমণ করা হচ্ছে। সুতরাং উপার্জনের সব টাকাই হালাল টাকা হতে হবে। জীবনযাপন করতে হলে টাকার দরকার প্রতিদিন। সেই টাকা হালাল হওয়াই বাঞ্ছনীয়। মনে রাখতে হবে, হালাল টাকার সঙ্গে হারাম টাকার মিশেল ঘটলে হালালও হারাম হয়ে যায়। এক বালতি দুধে এক ফোঁটা চোনা মেশালে যেমন দুধ নষ্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ট, ঠিক তেমন প্রচুর হালাল টাকার সঙ্গে সামান্য হারাম টাকা মেশালে হালাল টাকাও নষ্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ট। হালাল টাকা রোজগার করছ, নাকি হারাম টাকা রোজগার করছ, তা আর কেউ না দেখলেও সর্বশক্তিমান দেখছেন। তাহলে কী করতে হবে? আলী হাসানকে গান গাওয়া বন্ধ করতে হবে, গান গেয়ে টাকা উপার্জন বন্ধ করতে হবে। এতে হয়তো তাঁর বাড়ি বানানো হবে না, তাঁর বাড়ির স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে। শুধু তা-ই নয়, দর্শকদের মনোরঞ্জন করা তাঁর আর হবে না, তাঁর আর লোকপ্রিয় হওয়া, বিখ্যাত হওয়া হবে না। হাতে গোনা কিছু লোক ছাড়া তাঁকে কেউ চিনবে না। আলী হাসান হয়ে উঠবেন সাধারণ একজন ছাপোষা লোক।

আমি আলী হাসানকে চিনি না। র‌্যাপ সংগীত আমার পছন্দও নয়। আলী হাসান গান বন্ধ করে দিলে জাতির যে খুব দুর্দশা হবে, রেকর্ড কোম্পানির যে ক্ষতি হবে, অসংখ্য ভক্ত যে মর্মাহত হবে, তাও আমি মনে করি না। আলী হাসান একা নন, গান গাওয়াকে হারাম মনে করার লোক বাংলাদেশে ক্রমশ বাড়ছে। আমি খুবই দুঃখ পেয়েছিলাম আমার এক প্রিয় শিল্পী, এক প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী, যেদিন গান গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি শাহনাজ রহমতুল্লাহ। আমি শাহনাজ রহমতুল্লাহর গান খুবই ভালোবাসতাম। তাঁর দেশাত্মবোধক গানগুলোর কোনো তুলনা ছিল না। তিনি হজ করে এসে হিজাব পরা শুরু করলেন, এবং দিব্যি গান ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর ইবাদত করা শুরু করলেন। আল্লাহর ইবাদত করলে, নামাজ রোজা করলে, গান ছাড়তে হবে কেন, এ আমি ঠিক বুঝতে পারি না। এর পেছনে আমি কোনো যুক্তি খুঁজে পাই না। সুকণ্ঠ তো আল্লাহরই দান, সুর ছাড়া তো আজানও হয় না। অনেকে বলে যে লোক গান ভালোবাসে না, সুর ভালোবাসে না, ফুল এবং শিশু ভালোবাসে না, সে লোক মানুষ খুন করতে পারে। বাংলা গানগুলোয় দেশের জন্য, মানুষের জন্য, প্রকৃতির জন্য ভালোবাসা প্রকাশিত হয়। বাউল গানগুলো মূলত আধ্যাত্মিক গান। আধ্যাত্মিক গানে বা ভালোবাসার গানে আপত্তি ওঠার তো কোনো কারণ দেখি না। আপত্তি ওঠায় তো তারাই, যারা ঘৃণাকে সম্বল করে বেঁচে থাকে। পৃথিবীতে শান্তি আনতে হলে মানুষে মানুষে ঘৃণা নয়, ভালোবাসা চাই।

গায়ক ক্যাট স্টিভেন্স ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম বদলে ইউসুফ ইসলাম হয়েছেন সত্তর দশকের শেষের দিকে। মুসলমান হওয়ার পর তিনি গান ছেড়ে দিলেন। বহু বছর কোনো গান করেননি। বহু বছর পর গানে ফিরে এসে শুধু ইসলামী গান গেয়েছেন। এদিকে আশির দশকে মাইকেল জ্যাকসনের বড় ভাই জারমেইন জ্যাকসন ইসলাম গ্রহণ করার পর গান গাওয়া ছেড়েই দিয়েছেন বলতে গেলে। যদি মাঝে মাঝে কিছু গান করেন, সে ইসলামী গান। নেপোলয়ন এবং লুন, আমেরিকার দুই প্রতিভাবান গায়ক, ইসলাম গ্রহণ করার পর গানের জগৎ ছেড়ে চলে গেছেন।
আজমির শরিফে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দরবারে প্রতিদিনই বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে কাওয়ালি গাওয়া হয়। মঈনুদ্দিন চিশতি ইসলামের দাওয়াত দিয়ে ভারতবর্ষের লক্ষ লক্ষ হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছিলেন। এই উপমহাদেশে ইসলামের সেবা তাঁর চেয়ে বেশি কে করেছেন? তিনিই গান গেয়ে মানুষকে মুগ্ধ করেছেন, তাঁর ভক্তরা আজও তাঁর মাজারে গান গাইছে।

ইসলামে অভিনয় হারাম বলেও অভিনয় ছেড়েছেন অনেকে। জনপ্রিয় নায়িকা শাবানা অভিনয় ছেড়ে ধর্মের পথে চলে গেছেন। এখন হিজাব পরেন। অভিনয় হারাম বলে মৌসুমী অভিনয় ছেড়েছেন, মাহিয়া মাহিও ছেড়েছেন। ওদিকে দুই সফল সিনেমা দঙ্গল আর সিক্রেট সুপারস্টারের সফল নায়িকা প্রতিভাময়ী জায়রা ওয়াসিম অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন, কারণ চলচ্চিত্র জগতে থেকে তিনি মনে করেছেন, তাঁর ইমান নষ্ট হচ্ছে। তিনি অভিনয় করে পাপ করেছেন বলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, অগত্যা বোরখা পরে আল্লাহর পথে চিরকালের জন্য চলে গেছেন। অভিনয় ছেড়েছেন সানা খান। বলিউডে টিকে থাকার জন্য যখন তারকারা দিন-রাত পরিশ্রম করেন, সেখানে দীর্ঘদিনের বলিউডের গোছানো ক্যারিয়ারকে বিদায় জানিয়েছেন অভিনেত্রী সানা খান। কেন বিদায় জানিয়েছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে সানা খান বলেছিলেন তিনি ইসলামে সমর্পণ করতে চান নিজেকে। সানা খানের মতোই ইসলাম ধর্মের পথে চলার জন্য বিনোদন জগৎকে বিদায় জানিয়েছেন ভোজপুরী সিনেমার নামি অভিনেত্রী সহর আফসাহ। তিনি বলেছেন, ‘আমি সকলকে জানাতে চাই যে আমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিয়েছি, আর এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই না। বাকি জীবনটা ইসলামের শিক্ষা এবং আল্লাহর নিয়ম মেনেই কাটিয়ে দিতে চাই। অতীতে আমি যেভাবে জীবন কাটিয়েছি তার জন্য আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করছি।’ সহর আরও বলেছেন, ‘বিপুল সাফল্য আর অর্থ পেয়েও আমি তৃপ্ত ছিলাম না। কারণ আমি ছোটবেলায়ও এ ধরনের জীবনযাপন করার কথা ভাবিনি। হঠাৎ করেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমি এসে পড়ি আর এগিয়ে যেতে থাকি। কিন্তু এসব কিছু শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

শুধু সংগীত আর অভিনয় নয়, ইসলামের আদেশ মেনে আরও অনেকে নৃত্য ত্যাগ করে, অঙ্কন ত্যাগ করে, এবং নানা রকম সুকুমার বৃত্তি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ইসলামের দোহাই দিয়ে কত মেয়ে যে গান ছাড়তে, নাচ ছাড়তে, ছবি আঁকা ছাড়তে, অভিনয় ছাড়তে, লেখা ছাড়তে, খেলা ছাড়তে, পড়ালেখা ছাড়তে, চাকরি ছাড়তে, ব্যবসা ছাড়তে, ভিন্নমত প্রকাশ করা ছেড়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। প্রতিভার মৃত্যু আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি। দুর্নীতি, অপরাধপ্রবণতা, নারীবিদ্বেষ ইত্যাদি অপসংস্কৃতি মূল্যবোধের যে অবক্ষয় ডেকে আনছে সমাজে, সেই অবক্ষয় রোধে সুকুমার বৃত্তির বিকাশ অত্যন্ত জরুরি, শিল্প-সাহিত্যচর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প-সাহিত্যচর্চা বন্ধ হলে সমাজে ভয়াবহ অন্ধকার নেমে আসবে। ধর্মান্ধতা সমাজকে এমনভাবে গ্রাস করে ফেলছে যে, মাঝে মাঝে আশঙ্কা হয়, অন্ধকার নেমে আসতে খুব বেশি দিন হয়তো বাকি নেই।

ইসলামে মানুষের ছবি আঁকা হারাম, তাহলে মানুষের ছবি তোলাও তো হারাম। কিন্তু মোবাইল ক্যামেরায় তো প্রতিটি মুসলমান ছবি তুলতে ব্যস্ত। ছোটবেলায় শুনতাম, টেলিভিশন দেখা হারাম। কোন মুসলমান টেলিভিশন দেখে না, শুনি! ইসলামে মিথ্যে কথা বলা হারাম, তাই বলে মুসলমানরা কি মিথ্যে বলছে না? হাজি-নামাজি-রোজদারও তো নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে মিথ্যে বলে। ইসলামে চুরি করলে হাত কাটার কথা বলা হয়েছে। সুরা মায়িদায় বলা হয়েছে, ‘যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের শাস্তি হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি। আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, মহাজ্ঞানী।’ তাই বলে মুসলমান নারী-পুরুষরা কি একেবারেই চুরি করছে না? শুধু চুরি নয়, মহাচুরি করছে। দুর্নীতিতে ভেসে যাচ্ছে মুসলিম দেশগুলো। চোরদের তো হাত কাটা হচ্ছে না! বিধর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না-করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ লক্ষ লক্ষ মুসলমান নিজের দেশ ত্যাগ করে বিধর্মীদের দেশে গিয়ে বাস করছে। বিধর্মীদের করুণায় বেঁচে আছে। বেশির ভাগ মুসলিম শাসক বাণিজ্যের কারণে বিধর্মী শাসকদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক বজায় রাখে। সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিবেশী মুসলিম দেশগুলোর যে সম্পর্ক, তার চেয়ে ভালো সম্পর্ক ইউরোপ-আমেরিকার অমুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে। পুরুষতন্ত্রের অত্যাচারে মেয়েরা কাবু হয়ে আছে বহুকাল, আর ধর্ম যেহেতু পুরুষতান্ত্রিক, তাই ধর্মকে ব্যবহার করে ইতোমধ্যে কাবু হওয়া মেয়েদের আরও কাবু করছে পুরুষরা। তারপরও অগুনতি সাহসী মেয়ে ধর্মান্ধ পুরুষের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঘরের বাইরে বেরিয়েছে, শিক্ষিত হচ্ছে, আলোকিত হচ্ছে, নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে, নিজের শর্তে নিজের জীবন যাপন করছে। যারা পরকালে শাস্তির ভয়ে প্রতিভা বিসর্জন দিয়ে অন্ধকারে পড়ে আছে, তাদের উপেক্ষা করা ঠিক নয়। তারা নিজেদের ভুল বোঝার পর সাহায্য চাইলে সাহায্য করার, অন্ধকার থেকে তাদের আলোয় আনার দায়িত্ব নিতেই পারেন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা।

ইরান, মিসর, জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, কুয়েত, মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিশিয়া এরকম কত মুসলিম দেশ চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে। চলচ্চিত্র নির্মাতারা মুসলিম, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা মুসলিম। চলচ্চিত্রে নির্মাণ করার জন্য বা চলচ্চিত্রে অভিনয় করার জন্য কারও ধর্ম বিশ্বাসে কোনো সমস্যা হয়নি! সংগীত পরিবেশন করার জন্য, বাদ্যযন্ত্র বাজানোর জন্যও কারও ধর্ম বিশ্বাসে কোনো সমস্যা হয়নি। এই একবিংশ শতাব্দীতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোয় ধর্মের নামে কারও সংগীত ত্যাগ করা, অভিনয় ত্যাগ করা, জীবজন্তুর ছবি আঁকা ত্যাগ করা, বা কারও নৃত্য ত্যাগ করার ঘোষণা বড় মর্মান্তিক।

সবকিছুরই বিবর্তন ঘটছে প্রতিনিয়ত। মানুষেরও বিবর্তন ঘটে চলেছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানেরও পরিবর্তন ঘটছে। সমাজ বদলে যাচ্ছে, প্রতিনিয়ত আধুনিক হচ্ছে। জীবনযাপনের মান উন্নত হচ্ছে। ধর্মের নামে যে বৈষম্য, হিংস্রতা, ঘৃণা ইত্যাদিকে আঁকড়ে রাখা হয়েছে, সেগুলোকে বিদেয় করে মানবিকতা এবং উদারতাকে আহ্বান জানানো দরকার। এই দরকারটি সম্পর্কে অনেকেই উদাসীন। আজ নাচ, গান, বাদ্যযন্ত্রের বিরুদ্ধে ধর্মান্ধরা বলছে। কাল সাহিত্য রচনার বিরুদ্ধে বলবে। বই প্রকাশ বন্ধ হয়ে যাবে। শিক্ষা এবং জ্ঞানচর্চা বন্ধ হয়ে যাবে। স্কুল-কলেজ উঠে যাবে। একটি বই ছাড়া আর কোনো বই পড়ার অনুমতি জুটবে না। একটি মত ছাড়া আর সব মত নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। গণতন্ত্র বলে কোনো তন্ত্রের অস্তিত্ব থাকবে না। এমন সমাজ না চাইলে, সরকারের উচিত, ফতোয়াবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং শিল্প-সাহিত্য চর্চায় জনগণকে উৎসাহ দেওয়া, শিল্পের জন্য এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা, ধর্মকে যেন ভয়ংকর কোনো ত্রাস বলে কেউ মনে না করতে পারে, যেন ধর্মের ভয়ে শিল্পীরা শিল্পকর্ম বাদ দিয়ে গর্তে লুকিয়ে না পড়ে।

ভালো কাজ, মন্দ কাজের সংজ্ঞা আমরা জানি। সেটির চেয়ে ভালো ‘হারাম হালালের সংজ্ঞা’ আর কিছু হতে পারে না। মানুষকে অত্যাচার/ নির্যাতন করা, ধোঁকা দেওয়া, মানুষের সঙ্গে অন্যায় করা/ প্রতারণা করা, মানুষের অনিষ্ট করা, মানুষের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া মন্দ কাজ। মানুষকে ভালোবাসা, ধর্ম-বর্ণ-জাত-শ্রেণি নির্বিশেষে মানুষের উপকার করা, বিপদে মানুষকে এবং অন্যান্য প্রাণীকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করা ভালো কাজ। চুরি ডাকাতি করা, লুট করা, দুর্নীতি করা, যৌন হেনস্তা করা, খুন করা মন্দ কাজ। মানুষকে শিক্ষিত ও সভ্য করা, মানুষকে মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা ও সম্মান করা ভালো কাজ। আজ ভালো কাজের সংজ্ঞা যদি হালাল কাজ হতো, আর মন্দ কাজের সংজ্ঞা যদি হারাম কাজ হতো- তাহলে মানুষ হারাম কাজ করা থেকে বিরত থাকত এবং সমাজ রাতারাতি সভ্য হয়ে উঠত।

♦ লেখক : নির্বাসিত লেখিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights