কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণের উপর নিষেধাজ্ঞা

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরপ হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলধারা রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে। আজ মধ্য রাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। সম্প্রতি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ সভায় জেলা প্রশাসন মো. মিজানুর রহমান ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) যৌথভাবে তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার থেকে বিরত তাকার নির্দেশনা দেন জেলে ও মৎস্যজীবীদের।

জানা গেছে, প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময় রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছের বংশবৃদ্ধি, সুষ্ঠু ও প্রাকৃতিক প্রজনন ও মা মাছ নিধন রোধে মৎস্য শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরপ করেন। কারণ রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলধারা। আর এ জলধারা দেশের প্রধান মিঠাপানির মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র। যে দেশের মিঠা পানির মাছের ঘাটতি পূরণ করে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, পরবর্তী নিদের্শনা না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালিন মাছ শিকার থেকে বিরত থাকতে জেলেদের বিশেষভাবে সর্তক থাকতে হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। এছাড়া বন্ধকালীন সময় কাপ্তাই হ্রদে পোনা ও মাছের নিরাপত্তাই কাজ করবে বিএফডিসি ও পুলিশ। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
বিএফডিসি সূত্রে জানায়, বন্ধকালীন সময় কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পোনা মাছ অবমুক্ত করা হবে। একই সাথে জেলেদের বিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তাও দেওয়া হবে। যাতে বেকার জেলেরা খাদ্য সংকটে না পড়ে। রাঙামাটি হ্রদের মাছের উপর জীবন ও জীবিকা চলে এ অঞ্চলের ২২হাজার মৎস্যজীবির। কাপ্তাই হ্রদে থেকে প্রায় ৬৬টি দেশীও প্রজাতির ও ৬টি বহিরাগত প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights