কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সামনে লিজা হত্যার বিচারদাবীতে মানববন্ধন

কাশিমপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কাশিমপুরে ঈদুল ফিতরের দিনে লিজা মনি (১৯) নামেকাশিমপুর গৃহবধূ হত্যার বিচারদাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
এক গৃহবধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবীতে মানববন্ধন করেছেন নিহতের মা বাবাসহ এলাকাবাসী।
শুক্রবার (৯জুন) সকাল ১১টায় কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে মহানগরের ৪নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তায় প্রদক্ষিণ করে থানার সামনে জড়ো হয়ে হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
মানববন্ধনে নির্মম এবং বর্বর এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক আসামিদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার করা সহ আসামীগণের ফাঁসি দাবি করেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য যে, গত ২২শে এপ্রিল-২৩ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দুপুর আনুমানিক ৩.৩০ ঘটিকায় পারিবারিক কলহের জেরে লিজা মনি (১৯) নামের এক গৃহবধু নির্মম হত্যার শিকার হন।
এই ঘটনায় কাশিমপুর থানার এস.আই শুভ মন্ডল গণ-মাধ্যম’কে জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে এবং নিহতের স্বামী শামীম’কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের বাবা মনির হোসেন বলেন, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আসামিদের বিরুদ্ধে কাশিমপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে চাইলে তারা প্রথমে গড়িমসি করে এবং এস.আই শুভ মন্ডল আমার নিকট হইতে কতগুলো কাগজে সই করিয়ে নিয়ে বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে মামলা গ্রহণ করা হবে। অথচ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পূর্বেই একটি সাজানো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় খুনি শামীম’কে। যার মামলা নং কাশিমপুর থানা মামলা নং ২০, তাং ২৩/০৪/২০২৩ইং।
নিহতের বাবা আরো বলেন, আমার মেয়ে ঈদের দিন দুপুরে স্বামীর বাড়ী যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আমারা সংবাদ পাই যে, আমার মেয়ে মারা গেছে। সে নাকি জানালার গ্রীলের সাথে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন,
আপনারা আসুন, দেখুন। আমার মেয়ে ৫ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা আর জানালার উপরের উচ্চা মাত্র ৪ ফুট। এতো নিচু জানালার সাথে কিভাবে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে?
তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, মেডিকেলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য এক মাসের অধিক সময় চেষ্টা করেও কোনো রিপোর্ট আমি সংগ্রহ করতে পারি নাই।
নিহত লিজা’র মা বলেন, কাশিমপুর থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার না করে একটি সাজানো মামলায় খুনি শামীম’কে গ্রেফতার করে।
নিহতের মা আরো বলেন, আসামীদের বাড়িওয়ালা জলিল চৌধুরী আমাদের হুমকি দিয়ে বলেন, এই বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে সে আমাদের নামে মামলা করে দিবে। আপনারা তদন্ত করে দেখেন আমার মেয়ের হত্যার সাথে জলিল মিয়ার কিসের স্বার্থ জড়িত? আপনাদের সকলের কাছে আমি বিচার চাই। আমার মেয়ের খুনিদের ফাঁসি চাই।
স্থানীয় প্রতিবেশীদের ভাষ্য মতে, গ্রেফতারকৃত শামীম এবং তার পরিবারের নির্মম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিগত সময়ে একাধিক স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights