কোটালীপাড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ইমন নিজামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের এক পক্ষ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে।
আন্দোলনকারীরা আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার বহিষ্কারের দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্ত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

এ সময় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন, সাধারণ সম্পাদক আলীউজ্জামান জামির, শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মাইনুল ইসলাম রিমু বক্তব্য রাখেন।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার (বিকেলে কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় মঞ্চে ওঠা নিয়ে কোটালীপাড়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের আহবায়ক ইমন নিজামী ও শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী শাহাবুদ্দিন দাড়িয়ার মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওই দুই নেতার সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

এ সময় ইমন নিজামী, শাহাবুদ্দিন দাড়িয়াসহ ৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত ইমন নিজামীকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হলে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটে। চিকিৎসকদের পরামর্শে ইমন নিজামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ইমন নিজামীকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরে ছাত্রলীগের এক গ্রুপ গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভকারীরা তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার নির্দেশে ছাত্রলীগ নেতা নেতা ইমন নিজামীকে মারপিট করা হয়েছে। সে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এই ন্যক্কারজনক কাজের জন্য আমরা শামিম দাড়িয়ার বহিষ্কার দাবি করছি।
উপজেলা পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলীউজ্জামান জামির বলেন, আমরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শামিম দাড়িয়ার বহিষ্কার দাবি করছি। তা নাহলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো।

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি দুই পক্ষের সংঘর্ষ নিরসনের চেষ্টা করেছি। আমি কাউকে মারপিট করার নির্দেশ দেইনি। বরং কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রলীগ কর্মী আমার মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights