কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত ‘কালু-চান্দু’

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কোরবানির বাজারে আসছে বিশাল দুটি ষাঁড়। এর মধ্যে একটি কালো, অন্যটির কপালে চাঁদ ও কালোর মধ্যে শরীরে সাদ রং রয়েছে। তাই খামারি আদর করে ষাঁড় দু’টিকে কালু ও চান্দু নামে ডাকেন।

উপজেলার লাতাচাপলী ইউনিয়নের থঞ্জুপাড়া গ্রামে মো. সিদ্দিক মীর নামে এক খামারি কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য এ ষাঁড় দু’টি প্রস্তুত করেছেন। কালু এবং চান্দু দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থীরা ও ক্রেতারা আসছেন তার বাড়িতে।

খামারির তথ্য মতে, কালুর ওজন প্রায় সাড়ে ২৭ মণ এবং চান্দুর ওজন প্রায় ২২ মণ। কালুর বয়স ৪ বছর ও চান্দুর বয়স ৩ বছর। কালুর দাম হাঁকিয়েছেন ১১ লাখ টাকা। আর চান্দুর দাম ৮ লাখ টাকা। এদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রয়েছে ঘাস, গমের ভুসি, ভুট্টার গুড়া, খৈল ও শুকনা খড় ইত্যাদি। মোটা-তাজার জন্যও কোনো ফিড কিংবা মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়নি। তবে এ ষাঁড় দু’টি শাহিওয়াল ও হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের।
সিদ্দিক মীর পেশায় একজন কৃষক। তিনি বলেন, স্থানীয় বাজার থেকে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে ৮৩ হাজার টাকায় একটি গাভী গরু ক্রয় করেন। কিছু দিন যেতে না যেতই গাভীটি জন্ম দেয় কালুকে। এর পরের বছর ফের কপালে চাঁদ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে চান্দু। আদর-যত্ন দিয়ে এ ষাড় দু’টিকে লালনপালন করেন তিনি। এছাড়া তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য খেয়াল রাখছেন পরিবারের সবাই। তবে প্রথমে তারা ভাবেননি ওই বাচ্চা দুইটি এত বড় হবে।

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মো. মাহবুব বলেন, গ্রাম অঞ্চলে মূলত এত বড় ষাঁড় সচারচার দেখা যায় না। ষাঁড় দু’টিকে ওই খামারি সন্তানের মতো লালনপালন করে এত বড় করেছেন। কোরবানির বাজারে কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে পারলে আর্থিকভাবে সে লাভবান হবে।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গাজী শাহ আলম বলেন, ষাঁড় দু’টি উপজেলার মধ্যে অন্যতম। তার পরিশ্রমকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তাকে অনুসরণ করে যারা পশু পালনে আগ্রহী হচ্ছেন, তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights