খুলনায় প্রার্থী আছে এজেন্ট নাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা :

খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯ জন। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে অধিকাংশ প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট পাওয়া যায়নি। খুলনা-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাতজন প্রার্থী থাকলেও রবিবার সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে শুধুমাত্র নৌকার এজেন্টদের দেখা যায়। অন্যান্য প্রার্থীর এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রেই আসেনি।

একইভাবে খুলনা-৪ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১২ জন প্রার্থী। বেলা সাড়ে ১২টায় রূপসার নৈহাটি ইউনিয়নের আমদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা, কেটলি ও ঈগল প্রতীকের এজেন্টদের দেখা যায়। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, এই কেন্দ্রে সকাল থেকেই তিনজন প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট আছেন। বাকিরা কেন আসেননি তা জানি না। কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৬৭০ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪৬৮টি।

নগরীর তালীমুল মিল্লাত রহমাতিয়া ফাযিল মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জয়ন্ত কুমার পাল বলেন, এই কেন্দ্রে শুধুমাত্র নৌকার পোলিং এজেন্ট আছেন। বাকি কোন প্রার্থীর এজেন্ট আসেননি। একইভাবে খুলনা-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৭ জন প্রার্থী থাকলেও পাইকগাছা মানিকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা, ঈগল ও নোঙর প্রতীকের এজেন্টদের দেখা যায়।
এই আসনের জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু জানান, ভোটে জনগণের আগ্রহ নেই। ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা আসবেন না এটা বুঝতে পেরেই কেন্দ্রে এজেন্ট কমানো হয়েছে। ভোট চালিয়ে নিতে একটি কেন্দ্রে ৫টি বুুথ থাকলে সেখানে ৩ জন এজেন্ট আবার ৬টি বুথ থাকলেও সেখানে ৩ জন এজেন্ট দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দিন শেষে ১৫-২০ শতাংশ ভোট সংগ্রহ হতে পারে।

জানা যায়, খুলনা জেলায় ছয়টি সংসদীয় আসনে এবার ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭৯৩টি ও ভোটকক্ষ ৪৭২০টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights