‘ছাওয়াটাক ভাল করি মানুষ করিম’

অনলাইন ডেস্ক

‘বিয়া করলুং সুকত থাকার জন্যে, কিন্তু কপালত সুক জুটিল না। স্বামী আর একটাই জায়া সংসার পাতিল। এলা মুই তোর ছাওয়াক নিয়া মার সাথত থাকং।’ কথাগুলো বলছিলেন হাতিয়া ইউনিয়নের অন্তপুর গ্রামের কারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম।

বয়স খুব বেশি হলে ৩২ বছর। এর মধ্যে আট বছর স্বামীর ঘরে সংসার করে হয়েছে বিবাহ বিচ্ছেদ। মনোয়ারার ঘরে এখন এক ছেলে। তিনি থাকেন তাঁর মায়ের সঙ্গে।

বৃদ্ধা মায়ের একমাত্র সম্বল মনোয়ারা। আর মনোয়ারা চান তাঁর চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলতে। মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘তিন মাস আপার কাছকাছি টেনিং নিছি। এলা ছেলোয়ার, কামিজ, বাচ্চাদের প্যান্ট, টেপ এগলা ভালমত বানবার পাই।
মেশিন ধরি বসমো কাজকাম করমো। কয়টা টেকা কামাই করমো। গ্রামত মানুষ টেইলাসত না যায়, এটে সবাই বাড়িত এ কাপড় বানায় কাজ আসবে, ইনশাআল্লাহ।’

মনোয়ারা আরো বলেন, ‘ছাওয়াটা ক্লাস ফোরত পড়ে উয়ার তো দাদি আর মাও ছাড়া কাউয়ো নাই। এলাতো সেলাই মেশিন পাইলং বসুন্ধরা শুভসংঘ থাকি।

ছাওয়াটাক ভাল করি মানুষ করিম আর হামার হাতখরচও হইবে।’ বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘টেকা দিলে সে টেকা বেশিদিন থাকে না। কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপ যেটা দেইল, সেটা দিয়া হামরা কাজ করি খাবার পামো। আল্লাহ ওমার ভাল করুক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights