দিনাজপুরে দেখা দিয়েছে আমের মুকুল

আব্দুস সালাম, দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥ আম মিষ্টি ও টক স্বাদের মিশ্রণযুক্ত একটি রসালো ফল। বাংলাদেশে আমের যেমন চাহিদা রয়েছে তেমনি বেড়েই চলেছে এর উৎপাদন। সারা দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।

আম আমাদের দেশে মৌসুমি অর্থকরী ফল হিসেবে গুরুত্ব পেলেও বর্তমানে এটি শিল্পজাত পণ্য হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। প্রাকৃতিক ও ভৌগলিক অবস্থান এবং আম চাষের উপযোগী আবহাওয়ার কারণে দেশে বেড়েছে আম উৎপাদন। এতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে শুরু হয়েছে বিদেশে আম রফতানি।

দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মাঘ মাসের শুরুতেই এবার গাছে গাছে উঁকি দিতে শুরু করেছে আমের মুকুল। দিনাজপুর সদর উপজেলার মাসিমপুরসহ বিরল, কাহারোল, বীরগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি আম বাগান ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। কিছু কিছু বাসা বাড়ির গাছেও দেখা গেছে আমের মুকুল।

দিনাজপুর সদর ৭ নং উথরাইল ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহাজাহান আলির বাসার গাছে দেখা মিলেছে আমের মুকুল। তিনি গাছে সকাল বিকেল পানি দিয়ে পরিচর্যায় ব্যস্ত।

কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, বিশ্ব জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে আমের ফলনের সময়-সীমার পরিবর্তন এসেছে। গত এক দশক ধরে আম ফলনের সময়সীমায় ব্যাপক তারতম্য দেখা দিয়েছে।

আরও ১৫/২০ দিন গেলেই হয়তো সব গাছেই মুকুল আসতে শুরু করবে। ফুল ফোটার সময় মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে পুষ্প মুঞ্জতিতে পাউডারি মিলডিউ অ্যানত্রাকনোজ রোগের আক্রমণ হতে পারে। এতে গাছের পাতা মুকুল ও কচি আমে কাল দাগ পড়ে। প্রাকৃতিক পরাগায়নের জন্য আম বাগানে মৌমাছি পালন এবং বাগানের চারদিকে ফলের গাছ রোপন করলে ভাল হয়।

বার্তা প্রেরক ঃ আব্দুস সালাম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights