নড়াইলে আদালতে মামলা থাকাবস্তায় বিদ্যালয়ে নিয়োগ সম্পন্ন নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধিঃ
আদালতে মামলা চলমান থাকাবস্তায় নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে ৩ জন কর্মচারি নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৬
এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগে
অনিয়ম ও দূর্নীতির খবর পেয়ে সংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নিয়োগকর্তারা কোন প্রকার তথ্য
না দিয়েই দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন। অভিযোগে উঠেছে, ওই বিদ্যালয়ে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে
তাঁরা হলেন সভাপতি মোঃ নাসির খানের আপন খালাতো ভাইর ছেলে মিরাজুল ইসলাম, শ্যালক রাজিবুল
ইসলাম এবং অপর জনও তাঁর আত্মীয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১ জন
অফিস সহায়ক, ১ জন পরিছন্নতাকর্মী ও ১জন আয়া নিয়োগে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি
যোগসাজসে পূর্বনির্ধারিত নিজের লোকজনকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কর্মচারি
নিয়োগ হচ্ছে মর্মে এ নিয়োগ স্থগিত চেয়ে সহকারি জজ আদলত, লোহাগড়া নড়াইলে মামলা করা
হয়েছে (মামলা নং ৭৮/২৪ তারিখ ১৮/০৪/২৪)। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট
নিয়োগ বোর্ডের সকল সদস্যকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। নিয়োগ বোর্ডের সদস্য
সচিব প্রধান শিক্ষক নির্মল কুমার কুন্ডু ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং
কমিটির সভাপতি কে এম নাসিরউদ্দিন কারন দর্শানোর নোটিশের জবাব দিলেও নিয়োগ বোর্ডের
অনান্য সদস্য মাউশির মহাপরিচালকের প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও লোহাগড়া
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নোটিশের জবাব দেননি।
আদালতের কারন দর্শানো নোটিশের জবাব না দিয়েই ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ১১টায়
বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাংবাদিকরা নিয়োগ বোর্ডের
সদস্যদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি লোহাগড়া সহকারি কমিশনার
ভূমি আফরিন জাহান বলেন, পরীক্ষা চলছে পরীক্ষা শেষে কথা বললেন। অপেক্ষারত সাংবাদিকরা পরীক্ষা শেষে
লোহাগড়া সহকারি কমিশনার ভূমি আফরিন জাহানের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের
সাথে কোন কথা না বলেই লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হামিদ ভ’ইয়া ও মাউশি
মহাপরিচালকের প্রতিনিধি লোহগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়াতুর
জামানকে গাড়িতে তুলে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কে এম
নাসিরউদ্দিন বলেন, আদালতের মামলার কারন দর্শানোর জবাব তিনি দিয়েছেন। আগামী ৮মে আমার
(সভাপতির) দায়িত্ব শেষ হবে, তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলাম। আদালতে মামলা চলামান
থাকাবস্থায় নিয়োগ দেওয়া যাবে না এটি তার জানার বিষয় নয়। এটি নিয়োগ বোর্ডের অনান্য
সদস্য সরকারি কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি লোহাগড়া সহকারি কমিশনার ভূমি আফরিন
জাহান, লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হামিদ ভ’ইয়া ও মহাপরিচালকের প্রতিনিধি
লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়াতুর জামানকে জিজ্ঞেস করেন।
নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক নির্মল কুমার কুন্ডু বলেন, সভাপতি এ
বিষয়ে সব বলতে পারবেন আমি কোন কথা বলতে পারব না।##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights