নতুন স্বপ্নের শুরু বসুন্ধরার হাত ধরে

টুকটাক কাজ এখনও চলছে। তবুও যেন অপূর্ণতা কম। নীরব পরিবেশে ব্যাট-বলের টুংটাং শব্দই এখানে কেবল সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে আপাতত। বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল রংপুর রাইডার্স।

প্রতিবার বিপিএল এলেই দেখা যায় মিরপুরের একাডেমি মাঠে ভিড়। গাদাগাদি করে অনুশীলন করতে হয় অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। সময়ও বরাদ্দ থাকে অল্প। টুর্নামেন্টের শুরুর আসর থেকে বিভিন্ন দল নানা সময়ে বলে এসেছে নিজস্ব ভেন্যুর কথা। কিন্তু কেউই পারেনি এখন অবধি।

রংপুর রাইডার্স এ জায়গায় এবার ব্যতিক্রম। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভেতরে হচ্ছে স্পোর্টস কমপ্লেক্স। সেখানেই অনুশীলন করছে দলটি। রবিবার বিপিএলকে সামনে রেখে প্রথমবার নিজস্ব ভেন্যুতে অনুশীলন করে তারা।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ এই মাঠে এক সময় নিজেদের ভেন্যু হিসেবে বিপিএলের ম্যাচও আয়োজন করার স্বপ্ন দেখে রংপুর রাইডার্স। পাশেই তৈরি হচ্ছে ইনডোরসহ অন্য সব ফ্যাসিলিটি।

এবারের বিপিএলে প্রথমবারের মতো নেতৃত্বের ভার উঠেছে নুরুল হাসান সোহানের কাঁধে। জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে এবারই প্রথম। দীর্ঘদিনের বিপিএল অভিজ্ঞতা থেকে সোহান জানিয়েছেন, নিজেদের মাঠে অনুশীলন করতে পারার আনন্দের কথা।

তিনি বলছিলেন, ‘আমরা অনেক বেশি রোমাঞ্চিত। কারণ আমরা যখন বিপিএলের সময় অনুশীলন করি। একটা স্লট থাকে দুই-তিন ঘণ্টার বেশি চাইলেও অনেকে করতে পারে না। নিজেদের মাঠ হওয়ায় সকাল থেকে শুরু করছি, সময়ের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। যে যার প্রস্তুতি নিতে পারছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ।’

রংপুর রাইডার্সের টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম শোনাচ্ছিলেন নিজেদের স্বপ্ন পূরণের কথা, ‘কবে রংপুর রাইডার্স এখানে অনুশীলন করতে পারবে এটা মালিকপক্ষ ও ম্যানেজম্যান্টের জন্য স্বপ্নের ব্যাপার ছিল। অবশেষে সত্যি হয়েছে ব্যাপারটা।’

এখনও বিপিএল যেখানে আটকে আছে পুরো দেশের তিন ভেন্যুতে, সেখানে রংপুর রাইডার্স অনুশীলন করছে নিজস্ব মাঠে। কতটুকু সন্তুষ্টির? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলছিলেন, ‘এটা খুব সন্তোষজনক। দিনশেষে বিপিএল আমরা মাঠে খেলি। দল যতই ভালো করি না কেন, অনুশীলন ও প্রস্তুতিই মূল। বসুন্ধরা ও রংপুর রাইডার্স ফ্যাসিলিটিজ করে দিয়েছে যে সবসময় মাঠ অনুশীলনের জন্য এভেইলেবল। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু হতে পারে না।’

‘প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রস্তুতির জন্য নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ হিসেবে দেখেন, আমরা তিনটা উইকেট করেছি- চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকার উইকেটকে প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে। আমার মনে হয় প্রতিটা দল সাহস পাবে আমাদের দেখে। তিন বছরের মধ্যে অন্যদেরও মাঠ থাকবে।’

ভবিষ্যতে তাদের পথে হাঁটবে বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও, আশা প্রকাশ করেন শাহনিয়ান। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এখন বিসিবি যে পদক্ষেপ নিয়েছে, একটা ফ্র্যাঞ্চাইজিকে তিন বছরের জন্য দেওয়া হয়েছে। এটা অন্য দলগুলোকেও সাহস যোগাবে নিজস্ব মাঠে নিজেদের প্রস্তুত করতে। মিরপুরে যে সমস্যাটা হয়, স্লট নিতে হয়; প্রতিটি দলকে শেয়ার করতে হয়, সঠিক উইকেট চিন্তা করতে হয়। আমরা সঠিক প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights