‘‌নৈরাজ্য করলে হাত ভেঙে দেওয়া হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আগামী দিনের ক্ষমতা বদলের মালিক হবে এদেশের জনগণ। ওরা যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, ওদের বলতে চাই-এই দেশের সংবিধান বহির্রভূত কোনো নির্বাচন হবে না। আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে সরকার প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। নতুন করে আগুন জ্বালাতে, যানবাহন পোড়াতে চাইলে হাত ভেঙে দেওয়া হবে। আগামী নির্বাচনে যুবলীগ অতন্দ্র প্রহরী হয়ে কাজ করতে হবে।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে বিভাগীয় যুবলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়।

আবদুর রহমান আরও বলেন, যারা নতুন করে হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন তৈরি করতে চায়, তাদের এই যুবলীগ প্রতিহত করবে। বিএনপি-জামায়াতের স্বপ্ন পূরণ হতে দিবে না। সেই বার্তা নিয়ে শেখ হাসিনা আসবেন। সেদিনের আগমন রাজশাহীর সব জায়গা জনসমুদ্র হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর আরেক সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে ও বিরোধী দলে থাকতে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে এসেছেন। তবে এবারের আগমন বেশি আনন্দ ও উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। এর কারণ বাংলাদেশে বহু উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীকে বিএনপি এক সময় বলতো তাদের ঘাঁটি। এক সময় ছিলোও তা। এখন বিএনপি তাদের আর ঘাঁটি বলতে পারে না। বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকা দখল করতে চেয়েছিল সেই মাদরাসা মাঠে ড্রোন ক্যামেয়ার দেখেছি ১০-১২ হাজার লোকের আগমন হয়েছে। আমরা ৭-১০ লাখ জনগণের সমাগম দেখিয়ে দিবো। শেখ হাসিনার এসে নির্দেশনা দিবেন, সেই নির্দেশনায় নির্বাচন পর্যন্ত আমরা চলবো। সব সময় আমরা সচেতন থাকবো। আমরা আমাদের দেশকে আরও বহুদূর নিয়ে যেতে চাই।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে এই যোগ্যতা একমাত্র শুধু শেখ হাসিনার আছে। বিএনপির দেশ পরিচালনার কোন যোগ্যতা নেই। বিএনপিকে এই যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে দুর্নীতি, নৈরাজ্য, মানুষ হত্যা দূর করতে হবে। তারা দেশকে ধ্বংস করতে চায় বলে আবারও ক্ষমতায় আসতে ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রভূদের কাছে গিয়ে লাভ হবে না। ক্ষমতায় আসতে হলে আগে জনগণের কাছে মাফ চান, নাকে ক্ষত দিয়ে আসেন। আপনারা এক সময় ৬৩ জেলায় প্রেস ক্লাবে ও বিচারালয়ে বোমা মেরেছিলেন। সাংবাদিক ও বিচারালয়কে ভয় পান বলে বোমা মেরেছিলেন। অথচ এই দুইটা জিনিস রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ। শেখ হাসিনা বিনামূল্যে বই ও আশ্রয়ন দিয়েছেন, এটাই উন্নয়ন। এক সময় আপনারা বাংলাভাই তৈরি করেছিলেন। জনগণের অধিকার হরণ করেন বলে আপনাদের এই অবস্থা। আপনারা জনগণকে ভয় পান।

যুবলীগের বিভাগীয় বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights