পাহাড়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বাড়ছে প্রায় প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা। বড় থেকে ছোট। শিশু থেকে বৃদ্ধ যেনো কেউ বাদ নেই। ডায়রিয়ার সঙ্গে আছে জ্বর, কাশি, রক্ত বমিও। এ রোগের রোগীর সংখ্যা রাঙামাটি জেলা সদরের চেয়ে উপজেলায় বেশি। বিশেষ করে বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, লংগদু উপজেলায়।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছেন, টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে গোলা হয়ে গেছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। নানা প্রকার জিবাণুতে ভরে গেছে ছড়া, ঝর্ণার পানি। এসব সুপীয় পানি পান করে নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে পাহাড়বাসী। তবে রোগের চিকিৎসা দিতে মাঠে কাজ করছে স্বাস্থ্যকর্মীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্ষার কারণে প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে রাঙামাটিতে। একই সাথে নামছে উজানি পাহাড়ি ঢল। ভেসে আসছে নানা আবর্জনা, মানুষের মল। মিশে যাচ্ছে হ্রদের পানিতে। এ পানি হ্রদ তীরবর্তী বাসী ব্যবহার করে আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে।
অন্যদিকে, সম্প্রতি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম বেটলিং মৌজার তিনটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়া ও জ্বর। এতে করে অরুণ পাড়া, তারুম পাড়া ও নিউথাংনাং পাড়ায় প্রায় শতাধিক মানুষ ডায়রিয়া-জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার বলেন, এলাকাটি খুবই দুর্গম। সেখানে কোনো বিশুদ্ধ পানির উৎস নেই। ছড়া ও ঝর্ণা থেকে ওই সব এলাকার মানুষ পানি সংগ্রহ করে পান করনে। ব্যবহার করেন। বর্ষার বৃষ্টির কারণে জিবাণু যুক্ত হয়ে গেছে ছড়া, ঝর্ণার পানি। তাই ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা যায়। দুর্গমতার কারণে মেডিকেল দল পাঠানো নাগেলেও স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবক দল চিকিৎসার ব্যবস্থ করেছে।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে আর এমও ডাক্তার সওকত আকবর জানান, রাঙামাটিতে অসময়ে বেড়েছে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা। ৬ থেকে ১০ বছর আর বৃদ্ধ বেশি আক্রান্ত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পানি ব্যবহারের কারণে এ রোগের আক্রান্ত হচ্ছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা একেবারেই শূন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights