বাঘে ধরলে বাঘে ছাড়ে, শেখ হাসিনা ছাড়ে না

শরৎ চন্দ্রের নায়িকা পার্বতীর বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। বাবার মৃত্যুর পর নায়ক দেবদাসের বাবার বাড়িতে পার্বতী এলো। সন্ধ্যাবাতি জ্বলে ওঠার পর দেখা করল দেবদাসের সঙ্গে। অনেকক্ষণ কথা হলো বিভিন্ন বিষয়ে। এক পর্যায়ে বলল, ‘প্রতিজ্ঞা কর আর কোনো দিন মদ খাবে না।’ জবাবে দেবদাস বলল, পারব না। ছলছল চোখে পার্বতী আবার আকুতি জানাল। দেবদাস এবার বলল, ‘সবাই কি সব কাজ পারে?’ পার্বতী বলল, ‘ইচ্ছে করলে নিশ্চয়ই পারে।’ দেবদাস এবার বলল, ‘তুমি কি আজ রাতে আমার সঙ্গে পালিয়ে যেতে পার?’ পার্বতীর সহসা যেন হৃদস্পন্দন রুদ্ধ হইয়া গেল। অজ্ঞাতসারে অস্ফুটে মুখ দিয়া বের হয়ে গেল, তা কি হয়?’ আরেকজনের স্ত্রী পারু কী করে যাবে? তারপর নিজের জেদ থেকে আবার অনুরোধ করেছিল মদ পান না করতে। দেবদাস জবাবে বলল, ‘জোর করিয়া প্রতিজ্ঞা করণটা কি ভালো, না তাতে বিশেষ লাভ আছে? আজকার প্রতিজ্ঞা কাল হয়তো থাকবে না-কেন আর আমাকে মিথ্যাবাদী করবি?’

মানুষের দুনিয়ার ভণ্ডামি মির্জা গালিবকে কষ্ট দিত। হতাশ করত। গালিব ফ্রান্স থেকে আমদানি করা উন্নতমানের সুরা পান করতেন। জীবনের সবকিছু ভুলে থাকার চেষ্টা করতেন। লিখতেন আনন্দ-বেদনায়। দামি মদ পানে আর্থিক সংকটে পড়লেন মির্জা গালিব। দেনার দায়ে তাঁকে আদালতে তলব করা হলো। গালিবকে বিচারক বিদেশি দামি মদ পান থেকে বিরত হতে বললেন। গালিব জানালেন, বিদেশি দামি মদে তাঁর মাথার মগজ খোলে। বিদেশি না খেলে লিখতে পারেন না। মাথাও খোলে না।

নবাব পরিবারের সন্তান মির্জা গালিব সিদ্ধান্ত নিলেন আর্থিক সংকট কাটানোর। কীভাবে সম্ভব ভাবিয়ে তুলল তাঁকে। পথ একটাই- পূর্বপুরুষের পাওনা নিয়ে ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করা। পরিবারের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি তিনি যে অর্থ পেতেন তা দিয়ে চলছিল না। তিনি দেখলেন ব্রিটিশ রাজ তাঁকে প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করছে। নিয়ম অনুযায়ী আরও অনেক বেশি পাওয়ার কথা। মামলা করতে গালিব এলেন কলকাতা। দেখলেন সময় লাগবে সবকিছু শেষ করতে। কলকাতায় বাড়ি নিলেন। যে বাড়িতে উঠেছিলেন সেই সড়কটির নাম হলো মির্জা গালিব স্ট্রিট। তিনি আদালতে গেলেন। পূর্বপুরুষ নবাবদের উত্তরাধিকার হিসেবে প্রতি মাসে তাদের প্রদত্ত অর্থের চেয়ে অতিরিক্ত দাবি করলেন। আদালত মামলা গ্রহণ করলেন। গালিব আদালতে বললেন, তিনি ন্যায্য বিচার চান। রুলিং চান প্রতি মাসে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা বাড়িয়ে দিতে। মামলা অনেক দিন চলল। সরকার বাড়তি টাকা দেবে না। গালিবও হার মানতে নারাজ। কলকাতার আর্থিক সংকটের কষ্টের জীবনেও গালিব শরাব ছাড়েননি। বিদেশি মদ পান করেছেন। লিখেছেন শায়ের।
জীবনের সব লড়াইয়ের চাওয়াপাওয়া ভীষণ জটিল। গালিবের সংকট ছিল ব্যক্তিগত জীবনের বিলাসী মদ পানের। তিনি ছিলেন দেনাদার এক কবি। মদ বিক্রেতারা তাঁকে খুঁজতেন পাওনার জন্য। ব্রিটিশরা তাঁর পূর্বপুরুষের সম্পদ নিয়েছে। বিনিময়ে প্রাপ্যটাও দিচ্ছিল না ঠিকভাবে। ব্রিটিশ শাসকদের নিয়োগ করা লোকজন খাজনা নিত। তারা দিল্লির সম্রাট থেকে শুরু করে নবাবদের সম্পদ দখল করে নিয়েছিল। জোর করে খাজনা তুলত। নবাব পরিবারগুলোকে প্রদত্ত মাসোহারায় অনেকে খুশি ছিলেন। কেউ কেউ মেনে নিয়েছিলেন বাধ্য হয়ে। গালিব প্রতিবাদ করলেন মামলা করে। আবার অনেকে ছিলেন নিশ্চুপ। ব্রিটিশ বেনিয়ারা সবকিছু করত তাদের নিয়োগ করা কর্মচারী-কর্মকর্তাদের দিয়ে। অনেক সময় তাদের বিরুদ্ধে আসত দুর্নীতির অভিযোগ। কাউকে কাউকে হতে হয়েছিল বিচারের মুখোমুখি। রবার্ট ক্লাইভ তাদের একজন। দেশে ফিরে যাওয়ার পর দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন ক্লাইভ। আদায় করা খাজনা ও মুর্শিদাবাদের লুটের অর্থ ঠিকভাবে রাজকোষে জমা দেননি তিনি।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ব্রিটিশ শাসন ১৯৪৭ সালে বিদায় নিয়েছে। তবে তাদের রেখে যাওয়া আমলাতন্ত্র রয়ে গেছে। তাদের রেখে যাওয়া ফাঁকফোকর, অনিয়ম, মানুষের কাজে প্রতিবন্ধকতার কৌশল রয়েছে বহাল। আমলাতন্ত্র চলার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। রাজনীতিবিদরা নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে প্রথমে সবকিছু এড়িয়ে যান। আবার নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় ধরে বসেন সময়মতো। অভিযোগ সবার বিরুদ্ধেই রয়েছে। উঠতি অর্থনীতির দেশে সমাজে সুবিধাভোগী শ্রেণি তৈরি হয়। তারা নিজেদের মতো সবকিছু সাজাতে চেষ্টা করে। এতে নিয়মের পাশাপাশি দুর্নীতি-অনিয়মও হয়। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। অভিযোগ মালয়েশিয়া, আরব আমিরাতের বিরুদ্ধেও আসে। তবে সেখানে কঠোর আইনের শাসন রয়েছে। আমলাতন্ত্র অথবা রাজনীতিবিদের তৈরি করা বেড়াজাল নেই। অর্থনীতির উঠে দাঁড়ানো দেশে ভিতরে ভিতরে অনেক কিছু হয়। তবে সবকিছুর একটা সীমারেখা থাকে। সীমা অতিক্রম করলে প্রকৃতি সহ্য করে না। তখন জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাংলাদেশে এখন যা হচ্ছে তা কতিপয় আমলা ও রাজনীতিবিদের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির ফল।

আমাদের এক বন্ধু বললেন, ধরা খাওয়া আমলাদের এত বেশি চাওয়া, নেওয়া অথবা বানানোর কী দরকার ছিল? সবকিছুর একটা সীমা থাকে। সীমা অতিক্রম করলে পরিস্থিতি হয় ভয়াবহ। বাংলাদেশের কয়েকটি বিভাগে দুর্নীতির উৎসব হয়। আলোচনায় থাকে রাজস্ব বিভাগ আর পুলিশ। রাজউকে যান শান্তিপূর্ণভাবে কোনো কাজই করতে পারবেন না। ভূমি অফিসে কোনো নিয়মনীতি কেউ মানে না। বন বিভাগের কর্তারা নিজেদের রাজাই মনে করেন। চুরির উৎসব করেন। কোনো কিছুর তোয়াক্কা নেই। ওয়ান-ইলেভেনে বনের রাজা একজন ধরা খেয়েছিল। বাকিদের কথা আলোচনায় আসে। আবার সব থেমে যায়। বনের মতোই খারাপ পরিস্থিতি চিকিৎসা খাতে। কেনাকাটার অনিয়ম থেকে চিকিৎসার রেহাই নেই। চিকিৎসার নামে হয় বাণিজ্য। রবার্ট ক্লাইভের মতো হাজারো অনিয়মে ধরা খায় কয়েকজন। বাকিরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।

একজন জানতে চাইলেন আমলাদের লাগাম টানার কাজটি কে করবে? আরেকজন বললেন, রাজনীতিবিদরা শক্ত থাকলে অনেক কিছু হবে না। মন্ত্রিসভার রাজনীতিবিদ দুর্বল হলে আমলারা বেপরোয়া হয়। অনেক সময় রাজনীতিবিদরা নিজেদের সংকট কাটাতে না পারলে আমলাদের ওপর নির্ভরশীল হন। তাতেই সরকার ও রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাজনীতিবিদরা এখন নিজেদের ভিতরের সমস্যা নিয়েই ব্যস্ত আছেন। বাকি সবকিছু কীভাবে দেখবেন? আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতার পারিবারিক ক্ষমতার দ্বন্দ্ব বেসামাল। উপজেলা নির্বাচনের সময় অনেক কিছু দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম। এ পরিবারের এক ভাই জাতীয় নেতা। বাকিরা অনেক দিন সব মেনে নিয়েছিলেন। এখন তাদের মনে হচ্ছে, সব পেতে হবে। রাজনীতির জটিল সমীকরণে আপন-পর নেই। চাওয়াপাওয়ার হিসাব না মিললে এখন সামাজিক মাধ্যমে হইচই শুরু হয়। পরিবারের কোন্দল ছড়িয়ে পড়ে ঘরে-বাইরে। এক ভাই শান্ত হলে আরেকজন মাঠে নামে। নিজের ভাইকে রাজনৈতিকভাবে খাটো করে পায় আনন্দ। কেউ বুঝতে চায় না একই পরিবারের সবার বড় নেতা হওয়া সম্ভব নয়। কাউকে ছাড় দিতে হয়। কেউ সামনে এগিয়ে যায়।

পারিবারিক রাজনীতির হিসাবনিকাশ মাঠে অনেক বেশি বেড়েছে। কর্মীদের প্রতি নেতাদের আস্থা নেই। অনেকে নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসেন রাজনীতির পদপদবিতে। ভাই, ভাতিজা, ছেলেমেয়ে, আত্মীয়স্বজন সবাইকে দেন পদপদবি। দল ও সরকারে রাখেন পরিবারের সদস্যদের। সব দেখে কর্মীরা বিস্মিত, হতাশ হন। তার পরও আদর্শের রাজনীতি ছাড়তে পারেন না। ক্ষমতাসীনদের মাঠে নানামুখী বিরোধ জটিলতা বাড়াচ্ছে। তৈরি করছে সমস্যা। সাম্প্রতিক সময়ে দলের বিরোধ খুনোখুনিতে রূপ নিয়েছে। সত্যিকারের আদর্শিক রাজনীতি থাকলে এমন হতো না। রাজনীতিতে একটা সময় পরিবার বলতে বোঝাত পুরো দলের নেতা-কর্মীদের। এখন সেই চর্চা নেই। সবাই ন্যায্য হিস্সা চান। বুঝে নিতে চান নিজের চাওয়াপাওয়া। কেউ বুঝতে চান না বঙ্গবন্ধুর পরিবার ছিলেন তাঁর কর্মীরা। আর কর্মীদের ওপর ভর করেই বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন। শেখ হাসিনা বারবার ক্ষমতায় এসেছেন।

রাজনীতির হিসাবনিকাশ সব সময় সহি হয় না। আজকের কঠিন বাস্তবতা আগামীকাল ছাই হয়ে যেতে পারে। আজকের রাজনৈতিক বন্ধু কাল না-ও থাকতে পারে। জোট ও ভোটের হিসাব সব দেশেই আলাদা। রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকা অথবা বসার জন্য একটা কৌশল নিয়ে থাকে। সে কৌশলে মেরুকরণের ভিন্নতা তৈরি হয় সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। শুধু রাজনীতিবিদ কেন, একজন সমরবিদের রণকৌশল থাকে নিজের মতো করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়ছেন, কাল আপনি শত্রুমিত্র সবার চোখের বালি হয়ে উঠতে পারেন। সামান্য ভুলের জন্য আসতে পারে কঠিন খেসারত। শুধু রাজনীতিক নন, আমলাদের অতিরাজনীতিবিদ হয়ে ওঠার পরিণাম কখনো শুভ হয় না। আমলাদের অতি উৎসাহে রাজনীতিবিদদের হাল ছাড়ার যৌক্তিকতা নেই। রাজনীতি রক্ষিত থাকুক রাজনীতিবিদদের জন্য। আমলারা নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুক। এতে রাষ্ট্রের স্বাভাবিক গতি থাকে। সেদিন একজন রাজনীতিবিদ বললেন, গত ১০ বছর দায়িত্বের বাইরে অনেক বেশি ক্ষমতা দেখিয়েছিলেন অনেক আমলাকুল। কোনো দরকার ছিল না। কেউ কেউ রাজনীতিবিদদের ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। রাজনীতিবিদরা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করেছেন। বিনিময়ে আমলাকুলের একটি অংশ জড়িয়ে পড়েছিল ভয়াবহ দুর্নীতিতে। একজন মতিউর ছাগলকাণ্ডে ধরা খেয়েছেন। বিপদে আছেন একজন বেনজীর। যারা ধরা খাননি তারা আছেন টেনশনে।

থলের বিড়াল কার কখন বেরিয়ে পড়বে কেউ জানে না। আমার দাদি বলতেন, ‘অতি বাড় বেড়ো না, ঝরে পড়ে যাবে, অতি ছোট থেকো না ছাগলে মুড়ে খাবে।’ এমপি-মন্ত্রীদের সঙ্গে আমলাদের ক্ষমতার প্রতিযোগিতা অনেক কিছুর সর্বনাশ করে দিয়েছে। জবাবদিহির বাইরে কেউ নন। আজ জবাবদিহি না থাকলে কাল আসবে না এমন ভাবনার কারণ নেই। ২০১৮ সালের পর অনেক সরকারি কর্মকর্তা ভাব নিতেন রাজনীতিবিদদের সঙ্গে। কী দরকার ছিল এ প্রতিযোগিতার? রাষ্ট্রের সব বিভাগের দায়িত্ব আলাদাভাবে ন্যস্ত করে দেওয়া আছে। বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ যার যার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করলে সমস্যা থাকে না কোথাও। এত জটিলতাও আসে না। একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী বলেছেন, হঠাৎ কারও ভাব বেড়ে গেলে বুঝবেন অতিরিক্ত ক্ষমতা ও টাকার ভার সইতে কষ্ট হচ্ছে। তাই চলতে পারছেন না। একটা সময় জমিদারপুত্র মণি সিং রাজনীতিতে এসেছিলেন মানুষের কল্যাণে। শেষ করেছিলেন নিজের অর্থবিত্ত। এখন অর্থবিত্ত বানানোর প্রতিযোগিতায় অনেকে রাজনীতিতে জড়ান। সবাই টাকা বানাতে চান। আবার কেউ আসেন অর্জিত অর্থ রক্ষা করতে। মন্ত্রী হয়ে ব্যবসা বাড়ান। সচিবালয় বাদ দিয়ে বসেন নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। আমলা বসে থাকবেন কেন? প্রতিযোগিতার বাজারে চাকরিতে থেকেই তারাও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। পদবিকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মতো ব্যবহার করেন। বেশি বাড়াবাড়ি করে পরে ধরা খান।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারই ব্যবস্থা নিচ্ছে। অন্য কেউ নয়। বিষয়টি ইতিবাচক। শেখ হাসিনা না চাইলে বেনজীরের দুর্নীতি, সম্পদের তদন্ত হতো না। ব্যবস্থা নেওয়া হতো না মতিউরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে। শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় বলিষ্ঠ ছিলেন। তিনি ধরলে ছাড় দেন না। নিজের সরকারের আমলে অনেক মন্ত্রী, এমপি, আমলার রেহাই মেলেনি।

যখন যে অভিযোগ এসেছে তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। ইতিহাসের কঠিন বাস্তবতায় থাকতে হবে সবাইকে। চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শেখ হাসিনার সরকারের আরেকটি সফল অর্জন। শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর জিরো টলারেন্স শুধু কথার কথা নয়, বাস্তবতা। এখানে নিজের বা পরের বলে কোনো কথা নেই। সুরঞ্জিতের একটি উপমা দিয়ে লেখা শেষ করছি। প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছিলেন, ‘বাঘে ধরলে বাঘে ছাড়ে, শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়ে না।’

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights