বিশ্বকাপ শেষ সাকিবের

শ্রীলঙ্কা ম্যাচে স্মরণীয় জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসান। ৮২ রান ও ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন। দুর্ভাগ্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। বাঁ হাতের তর্জনী ভেঙে যাওয়ায় বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে টাইগার অধিনায়কের। ফলে পুণেতে ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলতে পারবেন না। গতকালই সাকিব দিল্লি থেকে ঢাকায় উড়ে গেছেন। এবারের বিশ্বকাপটা ভালো যায়নি। পুণেতে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেননি ইনজুরিতে। সেই পুণেতে খেলা হচ্ছে না বিশ্বকাপে টাইগারদের শেষ ম্যাচ। দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা ম্যাচে সাকিব বাঁ হাতের তর্জনীতে টেপ বেঁধে খেলেন। কিন্তু ব্যথা তীব্র হওয়ায় তার পক্ষে খেলা সম্ভব নয়।’ সাকিবের অনুপস্থিতিতে ম্যাচে দায়িত্ব পালন করবেন সহঅধিনায়ক নাজমুল শান্ত।

নিয়ম আছে। আবেদন করা অন্যায় নয়। সাকিব আল হাসান আবেদন করে অন্যায় করেননি। টাইগার অধিনায়কের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন আম্পায়ার। আউট দিয়েছেন ম্যাথুসকে। কোনো বল না খেলেই আউট! ক্রিকেট বিশ্বে কোনো বল না খেলে আউট হওয়ার শত নজির আছে। কিন্তু ১৪৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে ‘টাইমড আউট’ হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ‘টাইমড আউট’ হয়েছেন ম্যাথুস। ওই আউটের পর সাবেক, বর্তমান ক্রিকেটাররা নানান ধরনের মন্তব্য করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন ‘গেমস অব স্পিরিট’ নিয়ে। কিন্তু এটা ভুলে গেছেন তারা, একটা দল হারতে হারতে যখন খাদের কিনারায় এসে দাঁড়ায়, তখন জয়ের জন্য থাকে মড়িয়া। সাকিব বাহিনীও ছিল ক্ষুধার্ত। তার ওপর ২০২৫ সালের পাকিস্তান ট্রফির হাতছানি। দূষণের নগরী দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ন্যায়ের পথেই হেঁটেছেন টাইগার অধিনায়ক। ঘটনাবহুল ম্যাচ বাংলাদেশ ৩ উইকেটে হারিয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে গতকাল বিকালে ‘আইটি সিটি’ পুণেতে পা রেখেছে টাইগাররা। ১১ নভেম্বর বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। পুণেতে ক্রিকেটাররা উঠেছেন লা ম্যারিয়ট হোটেলে।

পুণেতে এবারই প্রথম খেলছেন না সাকিবরা। ভারতের বিরুদ্ধে খেলেছেন। যদিও বিরাট কোহলির সেঞ্চুরির কাছে ৭ উইকেটে হেরেছেন। পুণের উইকেটে রানোৎসব হয়। সেখানে আত্মবিশ্বাসী সাকিবরা কেমন খেলবেন প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলওড, অ্যাডাম জাম্পাদের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে। তবে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আত্মবিশ্বাসী, ‘কোনো সন্দেহ নেই অস্ট্রেলিয়া শক্তিশালী দল। তাদের বিরুদ্ধে জেতাটা সহজ নয়। অনেক কঠিন। ওরা বিশ্বকাপ জেতার অন্যতম ফেবারিট। তারপরও আমরা আত্মবিশ্বাসী। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় আমাদের জেদও ফিরিয়ে দিয়েছে। দলের ক্রিকেটাররা নির্ভার ক্রিকেট খেলবেন। ২০০৫ সালে কার্ডিফে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। তবে বিশ্বকাপে জেতেনি। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর বিকল্প নেই। সাকিব ছাড়া পারবে তো বাংলাদেশ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights