বিশ্বনাথে শেষ মুহূর্তে পশু কেনাবেচার ধুম

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। সোমবার ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন করবেন মুসলিম উম্মাহ। তাই শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে পশু কোরবানির। ইতিমধ্যে পছন্দের গরু-ছাগল কিনে নিয়েছেন অনেকেই। বৃষ্টি-কাদা উপেক্ষা করে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ১১টি পশুর হাটে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের কেনাবেচা।

সকাল থেকেই কোরবানির পশু কিনতে উপচে পড়া ভিড় জমান ক্রেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠে হাট। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত হাটে গরু বিক্রি হবে বলে জানান বিক্রেতারা। উপজেলায় এ বছর ৫ হাজারের অধিক পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাহিদ নওরিন।

হাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি পশুর হাটেই ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। হাটে পশুও ছিলো চাহিদার তুলনায় বেশি। এবার দামও ছিলো নাগালের মধ্যেই। হাটে হাটে কোরবানির পশু কিনতে ক্রেতাদের ছুটতে মানুষ। পছন্দের পশু দামে পড়লেই কিনে নিয়ে ফিরছেন বাড়ি। উপজেলায় এবার মাঝারি সাইজের গরু বিক্রি হয়েছে সব চেয়ে বেশি। যার দাম ছিলো ৭০-৮০ হাজারের মধ্যে। ছোট গরুর দাম হাঁকা হয় ৫৫-৬৫ হাজার। হাটে বড় সাইজের গরুর দাম ছিলো ১ থেকে দুই লক্ষ পর্যন্ত। হাটে অশানুরুপ বিক্রিতে উৎফুল্ল দেখা গেছে খামারি ও ব্যবসায়ীদের। ক্রেতারা জানান, এ বছর হাটে পর্যাপ্ত পশু থাকায় দেখে-শুনে পছন্দসই কোরবানির পশু খরিদ করেছেন তারা। দামও ছিলো অনেকটা নাগালের মধ্যেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বলেন, স্থায়ী তিনটি পশুর হাটের পাশাপাশি এবার অস্থায়ী আরও ৮টি হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা হচ্ছে। অপরদিকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights