ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তিন ট্রেন বিকল, বিলম্বে যাত্রা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক স্থানে ইঞ্জিন বিকল, হোস পাইপের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বগিতে সমস্যার কারণে চট্টলা, কর্ণফুলি ও উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে ও সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা- চট্টগ্রাম রেলপথে এসব ঘটনা ঘটে। তবে বিকল্প একাধিক লাইন থাকায় ওই সময়ে ট্রেনচলা চলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।

জানাযায়, সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা এলাকায় পৌঁছালে ট্রেনের গ-বগি সংযোগ স্থলের নিচের দিকে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ট্রেনটি কসবা স্টেশন এলাকায় থেমে যায়। পরে বিকল হওয়া গ-বগিটি বিচ্ছিন্ন করে ওই বগিটি কসবা স্টেশনে রেখে দুই ঘণ্টা পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্যোশে কসবা ত্যাগ করে।

ঘটনা সম্পর্কে কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সফিকুল ইসলাম জানান, বিকল হওয়ার পর দুই ঘণ্টা বিলম্বে চট্টলা ট্রেনটি গ-বগি রেখে ঢাকার উদ্যোশে যাত্রা করে। দীর্ঘক্ষণ বিলম্বের কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এদিকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে আটকা পরে। তবে ওই পথে বিকল্প একাধিক রেলপথ থাকায় ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। পরে ১ ঘণ্টা বিলম্বের পর ট্রেনের ইঞ্জিনটি সচল হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এছাড়া সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে হোস পাইপের (হাওয়া চলাচলের) সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন আওটারে বিকল হয়ে পড়ে। এতে ট্রেনটি এক ঘণ্টা বিলম্বে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে ট্রেনটি বিকল হলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা- সিলেট রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিলো।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় যাত্রাবিরতি শেষে স্টেশন ছেড়ে যায়। অদূরে শহরের কলেজ রেলগেইট এলাকায় পৌঁছা মাত্রই ট্রেনটির হোস পাইপের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্টরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মেরামত কাজ শেষ করলে ট্রেনটি পুনরায় নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচলে কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights