ভিক্টোরিয়া পুডিং! নিলামে উঠলো টাইটানিকের মেনু
অনলাইন ডেস্ক
এলাহি আয়োজন। অয়েস্টার, স্যামন, বিফ, স্কোয়াব, ডাক, চিকেন, পার্সনিপ পিউরি…শেষে আবার ভিক্টোরিয়া পুডিং! রাজকীয় খানাপিনা। হবে না-ই বা কেন। পৃথিবীতে অত বড় জাহাজ আর কোথায় ছিল। সেই জাহাজের ফার্স্ট ক্লাসের ধনকুবের যাত্রীদের নৈশভোজের মেনু।
সময়ের সঙ্গে সাদা মেনুকার্ডে লালচে রঙ ধরেছে। তবে খাবারের নামগুলি পাঠযোগ্য রয়েছে। কার্ডের ডান দিকে লেখা, এপ্রিল ১১, ১৯১২! আর উপরে একটি লাল পতাকা, তার মাঝে সাদা তারা। এটি টাইটানিকের পতাকা।
মেনু কার্ডটি আরএমএস টাইটানিকের। পৃথিবীতে এমন প্রকাণ্ড জাহাজ আগে তৈরি হয়নি। বিশেষজ্ঞেরা বলেছিলেন, এ জাহাজ কোনো দিন ডুববে না। যদিও ব্রিটেনের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কগামী জাহাজটি প্রথম সফরেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।
১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে একটি প্রকাণ্ড হিমশৈলে ধাক্কা লাগে টাইটানিকের। ফাটল ধরে জাহাজে। সেই রাতেই ডুবে যায় টাইটানিক। প্রাণ হারিয়েছিলেন কমপক্ষে ১৫০০ জন। যারা লাইফবোটে জায়গা করতে পেরেছিলেন, তারা বেঁচেছিলেন। এমনই কোনও যাত্রী টাইটানিক ছাড়ার আগে হয়তো একটি মেনু কার্ড স্মৃতি হিসেবে রেখে দিয়েছিলেন। অন্য কোনও কাহিনি থাকলে ১১১ বছর পরে আজ তা রহস্য। জাহাজডুবির তিন দিন আগের সেই মেনু কার্ড এবার লন্ডনে নিলামে উঠেছে। দাম উঠেছে ৮৩ হাজার পাউন্ড।
টাইটানিকের বিভিন্ন জিনিস বহু মানুষের ব্যক্তিগত সংগ্রহ হিসেবে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলি কোনও সংগ্রহশালায় থাকা উচিত। কিছু জিনিস টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ থেকে পাওয়া গিয়েছিল। কিছু ছিল ওই জাহাজ থেকে বেঁচে ফেরা যাত্রীদের কাছে। নিলামে ওঠা মেনু কার্ডটিও তেমন। তবে সেটি কার কাছে ছিল, কে জাহাজ থেকে নিয়ে এসেছিলেন, তা জানা যায়নি। সকলেই জানতে চান, লাইফবোটে ওঠার আগে কে ওই মেনু কার্ডটি তুলে এনেছিলেন!
আরও একটি জিনিস নিয়ে জনমানসে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সেটি হল, ‘ভিক্টোরিয়া পুডিং’। ভোজের শেষ পাতে রাজকীয় মিষ্টিমুখের রেসিপিটি ঠিক কী!
জানা গেছে, ময়দা, ডিম, জ্যাম, ব্র্যান্ডি, আপেল, চেরি, চিনি ও নানা মশলা সহযোগে তৈরি ওই পুডিং। এ ছাড়াও সে দিন নৈশভোজের শেষ পাতে ছিল ফরাসি আইসক্রিম ও অ্যাপ্রিকট।
সূত্র : এনডিটিভি।