ভোজ্য তেলে চরম অস্বস্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল নিয়ে চরম অস্বস্তি চলছে। অধিকাংশ দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু কিছু দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল মিললেও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। এমন অস্থিরতা কয়েক মাস ধরেই চলছে। সরবরাহ কম থাকায় খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তেল। তবে চালের দাম কিছুটা কমেছে। আমদানি করায় পাইকারি পর্যায়ে দাম ১-৩ টাকা কমেছে। গতকাল রাজধানীর খিলক্ষেত, জোয়ারসাহারা ও মহাখালী বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১৭৫ টাকা দামের ১ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই বললেই চলে। দু-একটি দোকানে থাকলেও লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। লিটারে বাড়তি ১৫ থেকে ২৫ টাকা পেলে গোপনে বিক্রি করছেন দোকানিরা। বড় দোকানগুলোয় ২ লিটারের বোতল ৩৫০ আর ৫ লিটারের ৮৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি সুপার শপেও আধা লিটার ও ১ লিটার তেলের স্বল্পতা দেখা গেছে। টিসিবির তথ্যমতে, বাজারে খোলা তেলের দাম এক সপ্তাহে বেড়েছে ৬ থেকে ৭ টাকা। বর্তমানে বাজারে খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৮২ টাকা। গত সপ্তাহে খোলা তেলের দাম ছিল ১৭৪ থেকে ১৭৫ টাকা।
খিলক্ষেত বাজারের বিক্রেতা আবদুর রহিম জানান, কয়েক মাস ধরে সয়াবিন তেলের ঘাটতি রয়েছে। প্রয়োজনমতো ডিলাররা তেল সরবরাহ করতে পারছেন না। পর্যাপ্ত তেল না থাকায় ক্রেতারা ঠিকমতো তেল পাচ্ছেন না। সরবরাহ বাড়লে বাজার ঠিক হয়ে যাবে।
চালের বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয় ৫২ থেকে ৫৫ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা। এ ছাড়া বর্তমানে মাঝারি চাল ৫৮ থেকে ৬৪, সরু চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে ছিল যথাক্রমে ৬২ থেকে ৬৫ ও ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা। মানভেদে এসব চালের কেজিতে ১ থেকে ৩ টাকা কমেছে। টিসিবির গতকালের হিসাবেও দেখা যায়, মোটা চালের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১ থেকে ২ টাকা কমেছে। এ ছাড়া মাঝারি চালের দাম এক সপ্তাহে কমেছে ১ টাকা।
সবজির বাজারে এখনো স্বস্তি রয়েছে। বাজারে ২০ টাকার নিচে মিলছে আলু। পিঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। ভালো মানের গোলবেগুন পাওয়া যাচ্ছে ৬০ টাকায়, মাঝারি মানের বেগুনের কেজি ৫০ টাকা। তবে লম্বা বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টম্যাটো ৩০-৪০ টাকা। বাজারে দেশি শসার কেজি ৫০-৬০, হাইব্রিড ৪০-৫০ আর খিরা ৩০-৪০ টাকা। গাজরের কেজি ৪০-৫০, শিম ৩০ থেকে ৫০, পেঁপে ৪০, মুলা ৩০, চিচিঙ্গা ৬০, বরবটি ও ঢ্যাঁড়শ ১০০, বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৪০ টাকা। বড় ধরনের প্রতিটি লাউ ৫০-৬০, চালকুমড়া ৫০, কলার হালি ৩০ টাকা। এ ছাড়া লাল শাক ও কলমি শাক ১০ টাকায় আঁটি বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ টাকা। ফুলকপির পিস ২৫ টাকা।
এসব বাজারে চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০, শোল ৬৫০, রুই, কাতলা ৩২০ থেকে ৪০০, পাবদা ৪০০, শিং ৫০০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০ থেকে ৫০০, বোয়াল ৫০০ থেকে ৬০০, মলা ৪০০, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০, চাষের কই ৩০০, বড় পুঁটি ২৫০, টাকি ৩৫০ এবং তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।