‘মগজ ধোলাইয়ের পদ্ধতি বহাল রাখতে নতুন পাঠ্যবই সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

নতুন পাঠ্যপুস্তকের সমালোচনাকারীদের আবারও কঠোর সমালোচনা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, একটি চিহ্নিত মহল শিক্ষার্থীদের ‘মগজ ধোলাইয়ের’ পদ্ধতি বহাল রাখতে নতুন পাঠ্যবই সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নতুন বইয়ে যা নেই, ফটোশপে এডিট করে তা দেখানো হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা মগজ ধোলাইয়ের শিকার হবে না। তার ভাবতে শিখবে, পৃথিবীকে জানবে। তাদের সেই চিন্তা ও মননশীলতার জায়গাটা স্বাভাবিক রাখতে সরকার সবকিছু করবে।

শনিবার দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) চতুর্থ সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি এবং চ্যান্সেলরের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. হাসিনা খান। যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে এক হাজার ৮৩৪ জন গ্রাজুয়েট অংশ নেন। এবারের সমাবর্তনে ২২ জন গ্রাজুয়েট চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ২৬ জন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং ৯ জন ডিন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, উচ্চপদস্থ সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায়। এজন্য দরকার স্মার্ট নাগরিক। আর স্মার্ট নাগরিক গড়তে শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই। স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে সহায়ক শিক্ষাক্রম নিয়ে কাজ করছে সরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি-পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামীতে জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিতে একটি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। আগামীর বিশ্বে তাল মেলাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে হবে। পাঠদানের পাশাপাশি পাওয়া জ্ঞানকে কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় যেতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights