যথাযোগ্য মর্যাদায় জাবিতে জাতীয় শোক দিবস পালিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

দিবসটি উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় হলের সামনে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু’ প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন তারা।

এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নুরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) শেখ মো. মঞ্জুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার ও রেজিস্ট্রার আবু হাসান এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীবৃন্দ।

শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর উপাচার্য তার ভাষণে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

এ সময় উপাচার্য বলেন, খুনিরা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। এ জন্য তারা বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র রাসেলকেও হত্যা করে। সেদিন বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। খুনি চক্র হয়তো ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে এ দেশের মানুষের মন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা যাবে। তাদের সেই ধারণা ছিল ভুল। বাঙালি শোককে শক্তিতে পরিণত করতে শিখেছে। জীবিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেয়ে শহীদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক শক্তিশালী। মানুষের মনের ভেতর বঙ্গবন্ধু শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ঠাঁই করে নিয়েছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হচ্ছে।

এর আগে ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন খানি ও মন্দিরে প্রার্থনার মাধ্যমে শোক দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও আবাসিক হলগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইলে তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী ক্লাবে গণভোজের আয়োজন করা হয়।

এছাড়া বাদ আছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় মিলাদ ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু কিশোরদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights