রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত কুয়াকাটার সৈকত
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
কুয়াকাটা নাম শুনলেই চোখের সামনেই ভেসে ওঠে চির সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য। একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত উপভোগ করা। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আদিবাসী রাখাইনপাড়া। দীর্ঘ সৈকতে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি। পাখির কলকাকলি। সৈকতে বিছানো সারি সারি ঝিনুক। আর লাল কাকড়ার অবাধ বিচরণে ফুটে উঠেছে আল্পনা।
সাগরের বিশালতার পাশাপাশি এই অপরূপ সৌন্দর্য যেন বিমোহিত করে ভ্রমণ পিপাসু প্রকৃতি প্রেমীদের। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্য ছিলো পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। তবে শুক্রবার সকাল থেকে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। হালকা হিমেল বাতাসে আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন।
অনেকে ব্রেঞ্চে বসে উপভোগ করেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। কেউবা আবার ঘুরেন ঘোড়ায় কিংবা ওয়াটার বাইকে। বুকিং রয়েছে অধিকাংশ হোটেল মোটেলের কক্ষ। রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমনে অনেকটা উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা।
এদিকে আগতদের সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে ট্যুরিষ্ট পুলিশের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।
পর্যটক মোস্তাফিজুর রহমান সুজন-মিলি আক্তার দম্পতি জানান, খুব অল্প সময়ে মধ্যে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। এখানকার পরিবেশ বেশ ভালোই লাগছে। একসঙ্গে এত মানুষ এর আগে দেখিনি।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটা ‘টোয়াক’র সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর এতো বেশি পর্যটক দেখে ব্যবসায়ীরাও অনেকটা উচ্ছ্বসিত। এভাবে প্রতিনিয়ত সৈকতে পর্যটক থাকলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. হাসানাইন পারভেজ বলেন, পর্যটকের চাপ একটু বেশি রয়েছে। তাই পর্যটকের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মাঠে টহল টিম কাজ করছে।