শৈত্যপ্রবাহে লালমনিরহাটের জনজীবন স্থবির

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
ঘন কুয়াশার সঙ্গে যুক্ত হওয়া শৈত্যপ্রবাহে লালমনিরহাটের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহের ছিন্নমূল মানুষ চরম বেকায়দায় পড়েছেন। ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে পুরো এলাকা। শীতে কাবু হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধ শিশুরা।

কয়েক দিনের টানা শৈত্যপ্রবাহে অনেকটাই বিপাকে তিস্তা ও ধরলা নদীর চর এলাকার বসবাসরত মানুষরা।

বুধবার সকাল ১০টায়ও সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় দিনের বেলাতেও সড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। হাড় কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীত জনিত রোগে হাসপাতালগুলোতে দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই শীতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের কর্মরত কর্মরত তুহিন মিয়া বলেন, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শীতে হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীত জনিত রোগে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে।

অনেকেই খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তাছাড়া তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলের মানুষেরা ঠাণ্ডা শুরু হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে।

সকালে কাজে বের হওয়া মতিউর রহমান বলেন, কয়েক দিনের ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে গেছি। ঠাণ্ডায় বাধ্য হয়ে কাজে বের হতে হচ্ছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আনারুল ইসলাম বলেন, শীত নামার সাথে সাথে শিশু বৃদ্ধ রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই শীতে নিউমোনিয়ার প্রকোপটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সাত দিনে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৪৪ জন শিশু হাসপাতলে ভর্তি হয়েছেন।

সির্ভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, প্রচণ্ড শীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ জন শিশু ভর্তি হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ উপজেলায় প্রায় ৬২ হাজার ২৪০টি কম্বল শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আরও চাহিদা চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights