সান্ত্বনার জয়ে হোয়াইটয়াশ এড়ালো জিম্বাবুয়ে

অনলাইন ডেস্ক

এর আগে সম্ভাবনা জাগিয়েও জয়ের দেখা পায়নি জিম্বাবুয়ে। পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে এসে জয়ের স্বাদ পেল দলটি। শুরু থেকে হিসেবি ব্যাটিং করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে জিতেছে সফরকারী দলটি। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের আগের চারটিতে আগের হেরেছে সিকান্দার রাজারা। সান্ত্বনার এই জয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হোয়াইটয়াশ এড়ালো তারা

আজ রবিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করেছে স্বাগতিকরা। ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই সফরকারীরা হারিয়ে ফেলে তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে। নতুন বলে মোটেও সুবিধা করতে পারেননি এই ব্যাটার, ৭ বলে ১ রান করে ধরেন সাজঘরের পথ। তবে অনু প্রান্তে ব্রায়ান বেনেট দ্রুত গতিতে রান জড়ো করতে থাকেন। তার সাথে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

রাজা সাবধানী ব্যাটিং চালিয়ে গেলে চড়াও হন বেনেট। দলীয় ১১৩ রানে দুজনের ৭৫ রানের জুটি ভাঙে ৫টি করে চার-ছক্কায় বেনেট ৪৯ বলে ৭০ রান করে বিদায় নিলে। এরপর রাজা তুলে নেন অর্ধশতক। শেষপর্যন্ত ৪৬ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন রাজা, হাঁকান ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা। ৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ে পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই বাজে হয় বাংলাদেশের। স্রেফ ১৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। শুরুটা হয় দ্বিতীয় ওভারে তানজিদ হাসান তামিমকে দিয়ে। ব্লেসিং মুজারাবানির বাউন্সার পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন তিনি। ৫ বলে ২ রান করেন তিনি।

ইনিংসের শুরুর দিকে ছক্কা হাঁকালেও সেটি বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন তিনি, এর আগে ৭ বল খেলে করেন ৭ রান। তিনে খেলতে নেমে ৬ বলে স্রেফ এক রান করে আউট হন তাওহীদ হৃদয়। ব্রায়ান বেনেটের বল ঠিকঠাক বুঝতে পারেননি, তার ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় ক্লাইভ মাদানদের হাতে।

তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের জুটিতে ৪৫ বলে আসে ৬৯ রান। এই জুটি ভাঙেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৬ রান করে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন শান্ত।

এই জুটি ভাঙার পর রিয়াদের সঙ্গী হন সাকিব আল হাসান। ১৭ বলে ২১ রান করা সাকিবকে ফেরান লুক জংওয়ে। তবে আরেক প্রান্তে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যদিও খুব বেশি দূর যেতে পারেননি এরপর। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৪ বলে ৫৪ রান করে মুজারাবানির বলে আউট হন তিনি। শেষদিকে দলের রানকে দেড়শ ছাড়িয়ে নিয়ে যান জাকের । ২ ছক্কা ও ১ চারে ১১ বলে অপরাজিত ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights