সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাভার প্রতিনিধি

সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে আনিস বেপারী (৩৩) নামের এক দোকান কর্মচারীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক আইজিপিসহ ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে আহত ওই দোকান কর্মচারী নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা।

ভুক্তভোগী আনিস বেপারী মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলেপ বেপারীর ছেলে। তিনি সাভারের দক্ষিণ রাজাসন এলাকায় থেকে সাভার নিউমার্কেটের একটি দোকানে কাজ করেন।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা, মারপিট ও গুলি বর্ষণ করে গুরুতর জখমসহ হত্যা চেষ্টা ও হুকুম দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ২৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভার নিউমার্কেটের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে বাম হাঁটুর নিচে, কোমর, পেটে এবং মাথার বাম দিকে গুলিবিদ্ধ হন আনিস ব্যাপারী। পরে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন ছাড়াও আসামিদের তালিকায় আরো রয়েছেন, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম, পুলিশ সদর দপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার লুৎফুল কবির, পুলিশ সদর দপ্তরের সাবেক ডিআইজি (অপারেশন) মো. আনোয়ার হোসেন, বরখাস্ত ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান, সহসভাপতি নিজাম উদ্দিন টিপু, সাভার উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা জানান, জুলাই-আগস্ট হত্যা এবং হত্যাপ্রচেষ্টার অভিযোগে রুজু হওয়া বেশিরভাই মামলার তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইতোমধ্যে মামলাগুলো বিশেষায়িত সংস্থাগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights