নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মুগ্ধ শিক্ষার্থীরা
নতুন বছর, নতুন বই। নতুন এক অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা। বছরের প্রথম দিনেই বই পেয়ে উচ্ছ্বাসিত তারা। যদিও সব বই না পাওয়ার বেদনাও আছে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর বই উৎসব না হলেও রবিবার সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামে হয়েছে বই উৎসব। নগরীর খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজিয়েটে স্কুল, সরকারি মুসলিম হাই স্কুলসহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে চলে এই উৎসব। বই উৎসব উপলক্ষে স্কুলগুলোয় বসেছে শিক্ষার্থীদের আনন্দমেলা। বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি।
চট্টগ্রামের হাইলধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলেন, ‘আজকে আমাদের বই দিয়েছে। আমরা নতুন বই পেয়েছি, কিন্তু সব বই আজকে দেয়নি। পরে দিবে বলছেন স্যার’।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিকে বইয়ের চাহিদা ছিল ৪৫ লাখ। আমরা ২৩ লাখ বই বিভিন্ন স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছি। সব স্কুলে এক সাথে সব বই বিতরণ করা সম্ভব নয়। তাই তারা শিডিউল অনুযায়ী বই বিতরণ করছে। যে বইগুলো পৌঁছেনি, তা ইতিমধ্যেই পৌঁছে যাবে’।
চট্টগ্রামের ৪ হাজার ৩৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮২ হাজার। এসব শিক্ষার্থীর বিপরীতে বইয়ের চাহিদা হচ্ছে ৪৫ লাখ ২২ হাজার ১০৯টি। চাহিদার বিপরীতে গত শুক্রবার পর্যন্ত বই এসেছে মাত্র ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ১১টি। যা মোট চাহিদার ৩৩ শতাংশ। অপরদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮১ জন। এসব শিক্ষার্থীর বিপরীতে বইয়ের চাহিদা ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাধ্যমিকের প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ৫৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৬১টি। মাদ্রাসায় প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ২৯ লাখ ৮৭ হাজার ৪১টি। সর্বমোট প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ৮৮ লাখ ৪১ হাজার ৫০২টি। এ পর্যন্ত মোট প্রাপ্ত ৫৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ বই বিদ্যালয়ে পৌঁছেছে।