পাহাড়ে বল সুন্দরীর বাম্পার ফলন

বল সুন্দরী। নাম যেমন, দেখতে ঠিক তেমনই। কাঁচা অবস্থায় সবুজ। পাকলে সিঁদুর লাল। কমলা কিংবা হলুদ। দেখতে অনেকটা আপেলের মতো। তবে আকারে ছোট। দেখতে আকর্ষণীয়, স্বাদেও মজাদার। রসালো এই ফলের গন্ধও অতুলনীয়। তাই এর নাম বল সুন্দরী।

রাঙামাটির পাহাড়ে এবারও বল সুন্দরীর বাম্পার ফলন হয়েছে। চাহিদা বেশি। লাভও বেশি। তাই বল সুন্দরী চাষে আগ্রহী পাহাড়ের অনেক কৃষক। চাষিরা বলছেন, পাহাড়ের গণ্ডি পেরিয়ে এ বল সুন্দরী বাজারজাত হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

রাঙামাটি জেলার বন্দুক ভাঙা ইউনিয়নে সুশান্ত তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ২০১৯ সালে সখের বসে বল সুন্দরী চাষাবাদ শুরু করেন। ১০০০টির মতো গাছ লাগায় নিজের বাগানে। মাত্র ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি চারা গাছে বল সুন্দরী ফলন এসেছে বাম্পার। এরই মধ্যে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে বল সুন্দরী। বাগানে আরও ফল আছে। আশা করা হচ্ছে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যাবে। আগামী বছর আরও ব্যাপক আকারে বাগান করার ইচ্ছা রয়েছে।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল জানান, বাউকুল, আপেল কুল, কাশ্মীরি কুলের চেয়ে এখন বেশি চাহিদা দেখা দিয়েছে বল সুন্দরী। সাধারণত এ ফল অস্ট্রেলিয়ার হয়। কিন্তু বাংলাদেশেও কিছু কিছু জায়গায় এ ফলের চাষ হচ্ছে। এখন রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাসহ বালুখালী ইউনিয়নেও বল সুন্দরীর চাষাবাদ হচ্ছে। নার্সারিগুলোতে এ গাছের কলব করা শুরু হয়েছে।

এবার রাঙামাটি জেলায় কুল চাষ হয়েছে ৭৬৪ হেক্টর জমিতে। সাধারণত জুন জুলাই থেকে এ কুল চাষ শুরু হয়। আর ফলন পাওয়া যায় ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে। অর্থাৎ মাত্র সাত মাসের মাথায় কুল সংগ্রহ করা যায়। তিন থেকে সাড়ে তিন মাস কুল পাওয়া যায় স্থানীয় বাজারে। বল সুন্দরীর প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কারণ এ সম্ভাবনা কাজে লাগানো গেলে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে পাহাড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *