গাজীপুর জেলার ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন
গাজীপুর প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত দেশব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২৫৯ ভবন একযোগে উদ্বোধন করেছেন। এর মধ্যে গাজীপুর জেলার ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- কাপাসিয়া উপজেলার কাপাসিয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, জে. পি. ডি. এস আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, বিবাদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বেগুনহাটি ফাজিল মাদ্রাসা, ঘাগটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয়, আড়ালিয়া কেরামতিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা এবং কালিয়াকৈর উপজেলার সাতকুড়া সূফীনগর দাখিল মাদ্রাসা, কালিয়াকৈর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
গাজীপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসিফুর রহমান জানান, এসব প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট দরপত্র মূল্য ২৬ কোটি ৪ লক্ষ ২ হাজার টাকা প্রায়। যেখানে শিক্ষার্থীরা আধুনিক উন্নত পরিবেশে পাঠ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।
গাজীপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসিফুর রহমান জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মানসম্মত শিক্ষার বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশের রূপান্তরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজন গুণগত মানসম্পন্ন ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা। কাঙ্খিত শিক্ষা সুনিশ্চিত এর প্রায়াসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশব্যাপী অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ করে চলেছে। ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে বিগত ১৫ বছরে সরকার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, গাজীপুর কর্তৃক প্রায় ৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪০৬ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ১৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২২৫৬টি শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। একইসাথে উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে আসবাবপত্রও সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও, পরিচালন বাজেটের আওতায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবননির্মাণ/সম্প্রসারণ এবং প্রায় তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠানে মেরামত/সংস্কার কাজ ও আসাববপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীদের আধুনিক উন্নত পরিবেশে পাঠ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং এতে গুণগত শিক্ষার প্রসার ঘটেছে।