বরগুনায় কাঁচা সড়ক পাকা করণের দাবীতে ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ!
মোঃ শাজনুস শরীফ বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমাখোলা গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কে ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ করে স্থানীয় গ্রামবাসী। শনিবার সকালে স্থানীয় গ্রামবাসীরা কাঁচা সড়কটি দ্রুত পাঁকা করনের দাবীতে ওই অভিনব প্রতিবাদ করেন।
সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানাযায়,উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমখোলা গ্রামটিতে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের বসবাস। এছাড়া এই গ্রামটিতে রয়েছে ডক্টর একেএম মজুমদার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই গ্রামের দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন তালতলী উপজেলা শহরসহ দেশের ভিভিন্ন এলাকায় মানুষজন চলাচল করে। বর্ষা মৌসুমে সড়কটি কাদায় পরিপূর্ন হয়ে যাওয়ায় ওই সড়ক দিয়ে গ্রামবাসীদের চলাচল দায় হয়ে পড়ে। সড়কটি এতই খারাপ থাকে যে ফলে মানুষজনদের চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বৃষ্টির সময় সড়কে কাঁদার পরিমাণ এতই বেড়ে যায় যে খালি পায়েও মানুষজন চলতে পারে না। সড়কটিতে কাঁদা থাকার কারনে বর্ষাকালে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারে না। এছাড়া স্থানীয়দের উৎপাদিত কৃষি পন্যও বাজারে নিতে পারেনা। রোগী কিংবা গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে নিরুপায় হয়ে গ্রাম্য ওঝা কবিরাজের শরনাপন্ন হতে হয় তাদের।
সড়কটির বেহাল দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দ্রæত পাঁকা করনের দাবী জানিয়ে শনিবার সকালে এলাকাবাসী রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
স্থানীয় ষাটোর্ধ আলেয়া বেগম বলেন, ওরে বাবা এই রাস্তায় এত কাদা মোর বাহের বষ্যেও দেহি নাই। বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়।
ডক্টর একেএম মজুমদার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাসেল বলেন, বৃষ্টির দিনে এই রাস্তা দিয়া মোরা স্কুলে যাইতে পারি না। কাদায় জামা কাপর নষ্ট অইয়া যায়।
মীম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বৃষ্টি অইলে মোরা আর স্কুলে যাইতে পারি না
স্থানীয় বাসিন্দা মোশারফ হোসেন মোল্লা, সোহেল খানসহ একাধিক স্থানীয়রা বলেন, সড়কটির উন্নয়নে কেউ কোন জনপ্রতিনিধি পদক্ষেপ নেয়নি। ওই রাস্তাটি দ্রæত সংস্কার ও পাকা করন এখন সময়ের দাবি।
ডক্টর একেএম মজুমদার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, বৃষ্টির দিনে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। আসলেও তাদের কাপর চোপর কাদায় নষ্ট হয়ে যায়।
সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুস ফরাজী বলেন, সড়কটি পাঁকা করনের জন্য উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সভায় আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।