টিনের ছাপড়ায় দুই শতাধিক শিশুর পাঠদান
মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি
বাগরহাটের মোরলগঞ্জে ২৮৭ নং জামিরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ৩ বছরের অধিক সময় ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী অবস্থায় রেয়েছে। ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে।
ঝুকিপূর্ণ এ ভবনে পাঠদান চালাতে গিয়ে দুইজন শিক্ষক ও কয়েকজন শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে আহত হয়েছেন। পরে টিনের ছাউনি দিয় ছাপড়া ঘর তৈরি করে চালু রাখা হয়েছে দুই শতাধিক শিশুর পাঠদান কার্যক্রম। পরিবেশ ও শিক্ষার মান বিবেচনায় বিদ্যালয়টি এ বছর উপজলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারন শিক্ষার্থী সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গাছপালা, ফুলের বাগান, খেলার মাঠ, শিশুপার্ক, মুজিব কর্ণার, শহিদ মিনার, পানির ফোয়ারাসহ অনেক কিছু রয়েছে বিদ্যালয় চত্বরে। গোটা পরিবশ শিশু বান্ধব হলেও নিরাপদ ভবনর অভাবে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদেরকে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন।
প্রধান শিক্ষক হারুনার রশিদ বলেন, এখানে নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪০ জন। বিদ্যালয়টি শিশুদের উপযোগী করে সাজানো হয়েছে। কিন্তু প্রায় ৩০ বছর পূর্বে নির্মাণ করা ভবনটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে দুইজন শিক্ষক ও ৩ জন শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে আহত হয়েছেন। এরপর থেকে দুইটি কক্ষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, কোনও শিশু এখানে ভর্তি হলে আর অন্য বিদ্যালয়ে যেতে চায়না। কিন্তু দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ না হলে নিরাপত্তাজনিত কারনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বিদ্যালয়টির ভবন সংকটের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মা. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঝুকিপূর্ণ ভবনের দুটি কক্ষ বন্ধ রাখার নির্দশ দেওয়া হয়েছে। নতুন ভবন বরাদ্দ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প ব্যবস্থায় পাঠদান চালু রাখার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।