এবার কেন শীত আসছে ধীরে?

অনলাইন ডেস্ক

শীতের হিম হাওয়া বইছে। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা অনুভূতও হচ্ছে। দেশের কোথাও কোথাও কাঁথায় শরীরও ঢাকতে হচ্ছে। লেপ, কম্বলও হয়তো নামাতে শুরু করেছেন উত্তরাঞ্চলের গ্রামের কেউ কেউ। তবে এখনো সামগ্রিকভাবে দেশে শীতের আবহ তৈরি হয়নি। শীতও যেন এবার নামছে ধীরে। আর রাজধানী ঢাকায় তো রীতিমতো ফ্যান চালাতে হয় এখনো।

এই শীতের ধীরে আসার একটা কারণও আছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২২ নভেম্বর থেকে দেশের সার্বিক তাপমাত্রা কমতে পারে। এ সময় শেষ রাতের দিকে উত্তরাঞ্চলে এবং গ্রাম অঞ্চলগুলোতে হালকা শীত অনুভূত হতে পারে।

আবহওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এবার শীত কম পড়তে পারে। শীতকাল শুরু হতে দেরিতে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক আবহাওয়া গবেষণা সংস্থা রাইমসের যৌথ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ বছরের শীতকালে তাপমাত্রা আগের তুলনায় বেশি থাকতে পারে। এরই মধ্যে অতিরিক্ত উষ্ণতার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। এ সময়ে সাগরের তাপমাত্রা থাকে ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে তাপমাত্রা থাকছে ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে সাগরে প্রচুর জলীয় বাষ্প ও চাপ তৈরি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ সৃষ্টি হওয়ার পেছনে ওই অতিরিক্ত তাপমাত্রাকেও দায়ী করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেটি নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে। এতে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়তে পারে বৃষ্টি। দেশের বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়তে পারে। এতে চলতি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকতে পারে। অর্থাৎ এই সময়ে যতটা ঠাণ্ডা পড়ার কথা ছিল, তার চেয়ে কম পড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *