হবিগঞ্জে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ

জাকারিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ

হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন। জানান দিচ্ছে শীতের আগমনি বার্তা। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে শিশুদের জন্য ৫০টি শয্যা রয়েছে। তবে সেখানে দুইশ’রও অধিক রোগী ভর্তি রয়েছে। অর্থাৎ ধারণ ক্ষমতার চারগুণ রোগী বর্তমানে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ১২৮ শিশু। এ অবস্থায় শিশুদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তার ও নার্সদের। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, তারা সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শিশু রোগীদের। এর অধিকাংশই জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, শাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। ডিউটিরত নার্সরা বলেন, সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায়ই শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ১২৮ শিশু। তারা বলেন, ওয়ার্ডে শয্যার চেয়ে অধিক রোগী থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। রোগীদেরও কষ্ট হচ্ছে। বেড না পেয়ে অনেককেই মেঝেতে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। নাছিমা আক্তার নামে এক শিশুর মা জানান, ‘আমার বাচ্চাকে নিয়ে রবিবার হবিগঞ্জ শহরে ডাক্তার দেখাতে আসি। এর জ্বর বেশি থাকায় বাধ্য হয়ে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে আসার পর বেড খালি না পেয়ে মেঝেতে রেখেই তাকে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। আয়েশা আক্তার নামে আরেক নারী জানান, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। আসমা আক্তার নামে অপর এক নারী জানান, সময়মতো ডাক্তার, নার্সদের পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের কাছে আমাদের বারবার যেতে হচ্ছে। পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আমিনুল হক সরকার বলেন, একদিকে আবহাওয়ার পরিবর্তন অন্যদিকে দুই দিন বেসরকারি হাসপাতালে ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা বন্ধ। তাই সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। তবে আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, এখন আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। তাই এ সময়টাতে শিশুদের আলাদা যত্ন নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *