ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম, পাল্টা হামলায় যুবক আহত
আধিপত্য বিস্তার ও নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার একজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রবিবার দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত এনামুল হক এনা (৫০) পুরুলিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
এ ঘটনার পরপরই প্রতিপক্ষ গ্রুপের খাইরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এনা গ্রুপের লোকজন। এছাড়া বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার চাঁচুড়ী ইউনিয়নের হাড়িয়ারঘোপ এলাকা থেকে হিমু শেখ (৪০) নামে এক যুবক কুপিয়ে আহত করে এনার লোকজন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউপি সদস্য এনামুল হক এনার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল পুরুলিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সভাপতি তমজিদ শেখ, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম ও সাফু শেখের। গত বছর ইউপি সদস্য নির্বাচনে এনার নিকট সাফু শেখ হেরে যাওয়ায় দু’গ্রুপের বিরোধ বড় আকার ধারণ করে। এরই জের ধরে রবিবার দুপুরে জোহরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এনামুল হক এনাকে প্রতিপক্ষের লোকজন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তার বাম হাতের আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে এবং পা ভেঙে দেয় তারা।
ইউপি সদস্য এনার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহত ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পরপরই প্রতিপক্ষ গ্রুপের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা খাইরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও হিমু শেখ নামে এক যুবক কুপিয়ে আহত করে এনার লোকজন।
আহত ইউপি সদস্য এনামুল হক এনার ছোট ভাই আজিজুর ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে, নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছে। যারা এই কাজ করেছে, তাদের বিচার চাই আমরা।
এ প্রসঙ্গে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার কারণে ইউপি সদস্যের ওপর হামলা হতে পারে। আহত ব্যক্তিদের পরিবার আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইলে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন। তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খবর পাওয়ার পর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।