মহাসড়ক বন্ধ করে নৌকা প্রার্থীর মিছিল, যানজট
সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যস্ততম মহাসড়কসহ বিভিন্ন শাখা সড়ক বন্ধ করে মিছিল ও শোডাউন করার অভিযোগ উঠেছে। এতে কয়েক কিলোমিটার সড়কে যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষদের।
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কে কয়েক হাজার নেতাকর্মী শোডাউনে অংশ নেয়ায় তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। এছাড়া ঘোষবাগ, জিরাবো, চিত্রশাইল, জামগড়া এলাকার বিভিন্ন শাখা সড়কে শোডাউনের কারণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে। জামগড়া এলাকার আলম মিয়া নামের এক বাসিন্দা বলেন, বিকেলে হঠাৎ করে হাজার হাজার মানুষ নিয়ে মিছিল ঢোকে তাদের এলাকায়৷ এসময় পুরো শাখা সড়কে পায়ে হেটে মিছিল অতিক্রম করারও কোন অবস্থা ছিলো না। রিকশা-ভ্যান গুলোও কোনরকমে সড়কের পাশে দাড় করিয়ে রেখেছিলো। সড়কে এত মানুষ নিয়ে মিছিল করার কি আছে? জনপ্রিয়তা থাকলে মানুষতো ভোট দেবেই। এভাবে সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে মানুষকে কষ্ট দেয়ার অর্থ কি? টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে যানজটে আটকে পড়া রাশেদুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, নিশ্চিন্তপুর থেকে জামগড়া পর্যন্ত মাত্র দিই কিলোমিটার সড়ক যেতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগছে। পুরো সড়ক জুড়ে হাজার হাজার মানুষের স্লোগান শুনে বুঝলাম কোন রাজনৈতিক দলের মিছিল যাচ্ছে। এসময় সড়কের দুই পাশে শত শত গাড়ি দাড়িয়ে ছিলো।
ইয়ারপুর উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। এসএমেস পাঠিয়েও কোন সাড়া মেলেনি তার।
নৌকার মিছিলে অংশ নেয়া ইয়ারপুর ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের মেম্বার হালিম মৃধা বলেন, ‘একবারে জামগড়া হইয়া ঘোষবাগ পর্যন্ত। টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তায় মিছিল হইছে। হাজার দশেক নেতাকর্মী ছিলো। সবাইতো এরকম করে ভাই। অন্য প্রার্থীরাওতো এরকম করছে। একটু জায়গাতো ইউজ করে নামতে হয়। সরকার মার্কেট থেকে জামগড়া পর্যন্ত জাস্ট এতটুকু রাস্তা ইউজ করা হইছে। যানজট হওয়ার আগেই ফ্যান্টাসি কিংডমের পাশ দিয়ে ঢুকে গেছি।
সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়ক আটকে মিছিল কিংবা শোডাউন আচরণবিধি লঙ্ঘণের সামিল। আমি বিষয়টা জানি না, দেখছি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রায় এক বছর দায়িত্ব পালনের পর মারা যান সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ভূইয়া। এরপর নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তার ছেলে ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন আহমেদ ভূইয়া। আগামী ২৯ ডিসেম্বর এই ইউনিয়নের উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মুসার সাথে পাঁচজন স্বতন্ত্রসহ মোট সাত জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।