তাইওয়ান ঘিরে ‘এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় মহড়া’ নিয়ে যা বলল চীন

তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চল ঘিরে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। এ মহড়ায় চীনের ৭১টি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন অংশ নেয়।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, চীনের এই মহড়া তাইওয়ানে এ যাবৎকালে চীনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা।

চীনের সেনাবাহিনী জানায়, তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ডুবোজাহাজ-বিধ্বংসী বিমানও পাঠায় তারা।
চীন বলেছে, তাইওয়ান ঘিরে সাগর ও আকাশপথে রোববার বিমানের মহড়া চালিয়েছে তারা। তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ ও যুক্তরাষ্ট্রের উসকানির জবাবে এ মহড়া চালানো হয় বলে দাবি বেইজিংয়ের। এর প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ ইয়ু বলেন, চীনের এ ধরনের কর্মকাণ্ড অত্যন্ত উসকানিমূলক।

গতকাল সকালে তাইপেতে এক সামরিক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। এ সময় তিনি বলেন, কর্তৃত্ববাদের অব্যাহত বিস্তার ঠেকাতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা-সক্ষমতা জোরদার করতে হবে; যদিও তিনি সর্বশেষ চীনা সামরিক তৎপরতার কথা ভাষণে উল্লেখ করেননি।

সাই ইং ওয়েন আরও বলেন, আমরা যত বেশি প্রস্তুতি নেব, ততই আগ্রাসনের ধাক্কা সামলাতে পারব।

এর আগে তাইওয়ানের সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, চীনের ৭১টি বিমানের মধ্যে অন্তত ৪৩টি তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চল অতিক্রম করেছে। এ মহড়ার মধ্য দিয়ে বেইজিং আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করছে এবং তাইওয়ানের জনগণকে আতঙ্কিত করতে চাইছে।

বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলে, মহড়ায় অংশ নেওয়া চীনা বিমানগুলোর বেশির ভাগই ছিল যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে কিছুসংখ্যক বিমান অল্প সময়ের জন্য তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চল অতিক্রম করে। পরে বিমানগুলো চীনে ফিরে যায়। তাইওয়ানের কাছে চীনা নৌবাহিনীর সাতটি জাহাজও শনাক্ত করা হয়েছে। সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *