মেট্রোরেলে উঠতে তর সইছে না উত্তরাবাসীর
মেট্রোরেলের কারণে কম ভোগান্তি সইতে হয়নি উত্তরাবাসীর। কিন্তু সেই ভোগান্তি আজ রূপ নিয়েছে আনন্দে। তাই তো বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের মেট্রোরেলে উঠতে যেন তর সইছে না উত্তরাবাসীর।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই মেট্রোরেল দেখতে সকাল থেকেই উত্তরার দিয়াবাড়ী মোড়ে জড়ো হয় আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা।
তেমনই একজন নাহিদ হাসান। তিনি উত্তরার-১৫ নম্বর সেক্টরে থাকেন। নাহিদ বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধন করায় আমাদের মধ্যে অনেক আনন্দ-উল্লাস কাজ করছে। মন চাচ্ছে এখনই দৌড়ে প্ল্যাটফর্মে চলে যাই। কিন্তু পুলিশ কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। যত সময় লাগুক প্ল্যাটফর্ম এলাকায় গিয়ে এক পলক হলেও মেট্রোরেল দেখবো।
উত্তরা মেট্রো স্টেশন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, এই স্টেশনে যাওয়ার চারপাশের সব রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই এলাকার শত শত মানুষ হেটে উত্তরা গোল চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন। তারা প্ল্যাটফর্ম এলাকায় যেতে চাইছেন। কিন্তু পুলিশ কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী উত্তরা প্ল্যাটফর্ম থেকে মেট্রোরেলে করে আগারগাঁও স্টেশনে যান। কিন্তু দুপুর ২টা পর্যন্ত রাস্তা আটকে রেখেছে পুলিশ। কাউকে মেট্রোরেল প্ল্যাটফর্ম এলাকায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর ওই প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন একটি মাঠে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখনো সব অতিথি সমাবেশস্থলে রয়েছেন। তারা বের হলে সাধারণ মানুষ প্ল্যাটফর্ম এলাকায় যেতে পারবেন। তবে আজ যাত্রী পরিবহন করবে না মেট্রোরেল। আগামীকাল সকাল থেকে যাত্রীরা মেট্রোরেল ব্যবহার করতে পারবেন।
উত্তরার মুদি দোকানি নিজাম উদ্দিন বলেন, এই মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের কারণে বিগত বছর উত্তরাবাসীকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এখন মেট্রোরেল উদ্বোধন হওয়ায় সবাই খুশি। মেট্রোরেল ওঠার জন্য আমাদের তর সইছে না।
দিয়াবাড়ী মোড়ে দায়িত্বরত পুলিশের এসআই ফরিদ হোসেন বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সব অতিথি যাওয়ার পর সাধারণ মানুষ প্লাটফর্ম এলাকায় যেতে পারবেন।