ইসলামের বাণী অন্যের কাছে পৌঁছে দেওয়া মুসলমানের দায়িত্ব

ইসলামের একেকটি বাণী অন্যের কাছে পৌঁছে দেওয়া সব মুসলমানের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব কোরআন ও সুন্নাহর পক্ষ থেকে প্রত্যেক মুসলমানের ওপর অর্পিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতএব যে আমার শাস্তিকে ভয় করে তাকে কোরআনের মাধ্যমে উপদেশ দাও। ’ (সুরা কাফ, আয়াত : ৪৫)

হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে একটি কথা হলেও তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও। ’ (বুখারি, হাদিস : ৩৪৬১)

যুগে যুগে ইসলাম প্রচারের মাধ্যমেই ইসলাম সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আসমানি ওহির আলোকে আসা বিধান রাসুল (সা.) পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ করে তার সঠিক ব্যাখ্যা মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন। এ ক্ষেত্রে সামান্য পরিবর্তন বা কমবেশি করার অধিকার ছিল না। কম-বেশি করলে আল্লাহ পাকড়াও করতেন। আল্লাহ বলেন, ‘সে যদি আমার নামে কোনো বানোয়াট কথা রচনা করতে চেষ্টা করত, তাহলে আমি তার ডান হাত ধরে ফেলতাম এবং তার মূল রগ কর্তন করে দিতাম। ’ (সুরা হাক্কাহ, আয়াত : ৪৪-৪৬)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে আমার নামে মিথ্যা কথা বর্ণনা করল, সে যেন জাহান্নামে তার স্থান বানিয়ে নিল। ’ (বুখারি, হাদিস : ১০৭)

হিদায়াতের মালিক আল্লাহ। রাসুল (সা.) ছিলেন সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারী। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রাসুলের দায়িত্ব শুধু সুস্পষ্টরূপে পৌঁছে দেওয়া। ’ (সুরা নুর, আয়াত : ৫৪)

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমার দায়িত্ব তো পৌঁছে দেওয়া আর আমার দায়িত্ব হিসাব নেওয়া। ’ (সুরা রাদ, আয়াত : ৪০)

একই দাওয়াতের মাধ্যমে আবু বকর, ওমর, উসমান ও আলী (রা.) হিদায়াত লাভ করে ধন্য হন। কিন্তু আবু জাহল, আবু লাহাব, আবু তালিব হিদায়াত পাননি।

রাসুল (সা.)-এর অবর্তমানে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন এবং মুসলিম উম্মাহর সত্যপন্থী জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিরা একই কাজ করে থাকেন। তাঁরা ইসলামের পূর্ণ অনুসরণের চেষ্টা করেন এবং তা হুবহু আম জনতার কাছে প্রচার করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে যারা জানে না তারা জ্ঞানীদের থেকে জিজ্ঞাসা করে নেবে, এটাই স্বাভাবিক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যদি না জান, তাহলে জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো—স্পষ্ট দলিল-প্রমাণসহ। ’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৪৩-৪৪)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *