গ্রামবাসীর নিজেদের অর্থায়নে কাঠের সেতু নির্মাণ
গ্রামবাসীর নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে কাঠের সেতু। এতে দীর্ঘ দিন ধরে নড়বড়ে ও ভাঙা বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থী ও পথচারীদের দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হয়েছে।
আগে খেয়া নৌকায় পারাপার হয়ে উপজেলা শহরসহ হাট-বাজার, স্কুল-কলেজে যাতায়াত করত। এক সময় খেয়া নৌকাও বন্ধ হয়ে যায়। পরে গ্রামবাসীর উদ্যোগে সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এক সময় সেটিও ভেঙে যায়। এতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। অবশেষে কাঠের সেতু নির্মাণ হওয়ায় এলাকাবাসী খুশি। এখন তারা এলাকায় একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি করছেন। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের উত্তর কালারাজা গ্রামে কমলাকান্ত খালের উপরে এই সেতু নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে সেতু এলাকায় দেখা যায়, সংযোগ সড়কে খালের ওপর ১২ ফুট প্রস্থ এবং ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি কাঠের তক্তার পাটাতন ও খুঁটি দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি ব্যবহার করে প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ পারাপার হতে পারবে।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, খাল পার হয়ে গ্রামের লোকজন এখন সহজে উপজেলা শহরে যাতায়াত করে থাকেন। এ খাল পার হয়েই কালারাজা প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালারাজা হাট হোসাইনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, কলাগাছিয়া, খারিজ্জমা, কালারাজা বাজার, চিকনিকান্দী ইউনিয়ন ও ভূমি অফিসসহ উপজেলা সদরে আসতে হয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী, বয়ঃবৃদ্ধ নারী-পুরুষসহ হাজার হাজার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের।
কালারাজা হাট হোসাইনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র তরিকুল ইসলাম বলেন, সেতু হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। আগে ২ কিলোমিটার বেশি ঘুরে আমাদের মাদ্রাসায় যেতে হতো। এখন সহজে খাল পার হয়ে মাদ্রাসায় যেতে পারব।
ইউপি সদস্য অলিউল্লাহ ইসলাম বলেন, আগে কাঠের পুল না থাকায় গ্রামের মানুষের অনেক কষ্ট হত। এমনকি রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিতে বিড়ম্বনা পেতে হত। এখন কাঠের পুলটি হওয়ায় আমরা অনেক সন্তুষ্ট।
চিকনিকান্দী ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করেছি। এতে আমাদের প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। তবে এখানেই শেষ নয়, আমি চেষ্টা করব আগামীতে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার।