ভোলায় ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় উপজেলার আমিনাবাদ, জিন্নাগড় ও নীলকমল ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল থেকেই তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার মধ্যেই নারী-পুরুষরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন।
এদিকে, সকালে নীলকমল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে চর নুরুল আমিন হোসাইনিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন লিখনের (মোটরসাইকেল প্রতীক) এজেন্টদের ভোট শুরু হওয়ার আগে কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগের (নৌকা প্রতীক) প্রার্থী আলমগীর হাওয়ালার ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর আহত এজেন্ট মো. কামাল, নূরুন্নবী ও ছালাউদ্দিন জানান, তারা সকালে ভোটকেন্দ্র এলাকায় আসলে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের পথরোধ করে মারধর শুরু করেন। এমনকী তাদের গায়ের শার্টও ছিড়ে ফেলেন তারা। এছাড়া তারা যে যানবাহনে আসেন তার চালককেও মারধর করেন।
পরে তারা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে দাবি করেন।
নীলকমল ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন লিখন বলেন, জনগণ আমার পক্ষে আছে। এজন্য নৌকার প্রার্থী তার উশৃঙ্খল কর্মীদের লাগিয়ে দিয়েছে আমার এজেন্টদের মারধর করতে। আর আমার এজেন্টরা যদি কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে তাহলে তার জন্য সুবিধা হবে এজন্য সে এসব করছে।
তিনি আরও বলেন, পথে পথে আমার এজেন্টদের মারধর করার পাশাপাশি কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছেন নৌকার প্রতীকের সমর্থকরা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রতীকের প্রার্থী মো. আলমগীর হাওলাদার বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর জনসমর্থন কম হওয়ায় এসব উল্টাপাল্টা কথা বলছেন।
নীলকমল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চর নুরুল আমিন হোসাইনিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. আহসান তাওহীদ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে স্বতন্ত্র মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টরা দেরিতে ভোটকেন্দ্রে এসেছেন।
আমিনাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে তিনজন, সাধারণ ইউপি সদস্য পদে ২২ জন ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য পদে ১০ জন, জিন্নাগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে দুইজন, সাধারণ ইউপি সদস্য পদে ৩৮ জন ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য পদে আটজন এবং নীলকমল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন, সাধারন ইউপি সদস্য পদে ৩১ জন ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।