সিটি নির্বাচন কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা, পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর থেকে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী ও সর্মথকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া কেউ কেউ বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহাবুব মোর্শেদ শামীমের পক্ষে তার লোকজন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশের সাথে ধাওয়া -পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছে শাহাদৎ হোসেন। এদিকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেছেন পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী বাহলুল ইসলাম জেপলিনের সমর্থকরা। এর আগে ২৬ নম্বর ওয়াার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শাহাজাদা আরমান সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে অপ অপ্রচারের প্রতিবাদ জানান। ওই ওয়ার্ডের পরাজিত আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী এম এ রাজ্জাক মন্ডলকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া নির্বাচনের দিন রাতে ৪ নং ওয়ার্ডে টহলরত বিজিবির গাড়িকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ওই পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী একরামুল হকের পক্ষে তার লোকজন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।

ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম জানিয়েছেন, রংপুর সদর সিনিয়র জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজকে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল। আইন অনুযায়ী, ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। ট্রাইব্যুনাল সে অভিযোগ নিষ্পত্তি করবেন পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে। সেখানে সুবিচার না পেয়ে থাকলে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যাবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে। ২৭ ডিসেম্বর রসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *