পেলের টাইমলাইন, যা কিছু স্মরণীয়

২৩ অক্টোবর, ১৯৪০ সাও পাওলোর ট্রেস কোরাকোয়েসে জন্মগ্রহণ করেন পেলে। মা-বাবা বৈদ্যুতিক বাল্বের আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসনের সাথে মিলিয়ে নাম রাখেন এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো। সেময়কার ব্রাজিলের বিখ্যাত ফুটবলার ছিলেন বিলে। এডসনের পায়ে ফুটবলের কারিকুরি দেখে কেউ একজন তার নাম দেন ‘পেলে’। সেই নামটাই শেষ পর্যন্ত জগৎ বিখ্যাত হয়।

২৯ জুলাই, ১৯৫৬: স্থানীয় কোচ ভালদেমার ডি ব্রিতো ১৫ বছর বয়সী পেলেকে নিয়ে যান সাও পাওলো ক্লাবে।

৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৬: পেলের পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু এই দিনে। সাও পাওলোর প্রতিপক্ষ ছিল করিন্থিয়ানস সান্তো আন্দ্রে। মাঠে নেমে গোল করেন পেলে। দল জেতে ৭-১ গোলে।
৭ জুলাই, ১৯৫৭: ব্রাজিলের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামেন মারাকানায়, প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। ম্যাচটি অবশ্য ২-১ ব্যবধানে হারে ব্রাজিল।

২৯ জুন, ১৯৫৮: সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে নামেন সুইডেনের বিপক্ষে। তার বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৯ দিন। ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেন পেলে। দল জয় পায় ৫-২ ব্যবধানে।

৫ মার্চ, ১৯৬১: সান্তোসের হয়ে ফ্লুমিনেজের বিপক্ষে এমন এক গোল করেন, যেটিকে অনেকে ‘ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর’ আখ্যা দিয়েছেন। এর পরপরই ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট তাঁকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে ঘোষণা দেন। হয়ে ওঠেন ব্রাজিলের ‘সাম্বা ফুটবলে’র প্রতীক।

১৭ জুন, ১৯৬২: বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই মেক্সিকোর বিপক্ষে চার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে অসাধারণ এক গোল করেন। সতীর্থকে দিয়ে করান আরেকটি গোল। ব্রাজিল জেতে ২-০ ব্যবধানে। পরের ম্যাচে চেকস্লোভাকিয়ার বিপক্ষে দূরপাল্লার শট নিতে গিয়ে চোটে পড়েন। ছিটকে যান বিশ্বকাপ থেকেই।

৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯: যুদ্ধের মধ্যে নাইজেরিয়ায় খেলতে গিয়েছিল সান্তোস। পেলের খেলা দেখতে ৪৮ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে নাইজেরিয়া ও বায়াফ্রা।

১৯ নভেম্বর, ১৯৬৯: ভাস্কো দা গামার বিপক্ষে নিজের ১ হাজারতম গোলটি করেন। সান্তোস ও ভাস্কো দা গামার সমর্থকেরা তাঁকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান।

২১ জুলাই, ১৯৭০: বিশ্বকাপ ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে ব্রাজিলকে এনে দেন প্রথম গোল। শেষ পর্যন্ত ৪-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে জেতেন তৃতীয় বিশ্বকাপ। যে কীর্তি এখনো কেউ ভাঙতে পারেনি।

১৮ জুলাই, ১৯৭১: ব্রাজিলের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে শেষ ম্যাচটি খেলেন ১৯৭১ সালের ১৮ জুলাই। রিও ডি জেনেরিওর ম্যাচটিতে প্রতিপক্ষ যুগোস্লোভিয়া।

১০ জুলাই, ১৯৭৫: আন্তর্জাতিক ফুটবলের পর ক্লাব ফুটবলও প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। সান্তোসের হয়ে মাঝেমধ্যে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতেন। তবে দুই বছর পর অবসর ভেঙে যোগ দেন নর্থ আমেরিকান সকার লিগের ক্লাব নিউইয়র্ক কসমসে।

১ অক্টোবর, ১৯৭৭: আনুষ্ঠানিকভাবে বুট জোড়া তুলে রাখেন একটি প্রদর্শনী ম্যাচের মধ্য দিয়ে। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ছিল কসমস ও সান্তোসের মধ্যে। ম্যাচের প্রথমার্ধে কসমস, দ্বিতীয়ার্ধে সান্তোর হয়ে খেলেন তিনি।

১১ ডিসেম্বর, ২০০০: বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি দিতে ‘প্লেয়ার অব দ্য সেঞ্চুরি’ পুরস্কারের ব্যবস্থা করে ফিফা। ২০০০ সালের ১১ ডিসেম্বর রোমে অনুষ্ঠিত ফিফা ওয়ার্ল্ড গালায় পেলে এবং ম্যারাডোনাকে যৌথভাবে পুরস্কারটি দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *