রোমাঞ্চ খোয়া গেল আলোকস্বল্পতায়, ড্র করাচি

শেষ পর্যন্ত আলোক স্বপ্লতায় করাচি ড্র’তেই শেষ হয়েছে করাচি টেস্টের রোমাঞ্চ। ৭ ওভারে ৬১ রান তুলেও জেতা হল না নিউজিল্যান্ডের।

ফলে ২০২২ সালে টেস্টে ঘরের মাটিতে জয়শূন্যই থাকছে পাকিস্তান।

২ উইকেটে ৭৭ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করা পাকিস্তানই শুরুতে চাপে ছিল একটু। নাইটওয়াচম্যান নোমান আলী ও অধিনায়ক বাবর আজম ফিরে যান ১০০ রানের মধ্যেই। পাকিস্তান অবশ্য এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় সরফরাজ আহমেদের প্রতি-আক্রমণে, সঙ্গে ছিলেন ইমাম-উল-হক। দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকেই যায় মধ্যাহ্নবিরতিতে।
দুজনের জুটিতে ওঠে ৮৭ রান। ৭৬ বলে ৫৩ রানের ইনিংসের পর ফেরেন সরফরাজ। আগা সালমানের সঙ্গে ইমামের জুটি অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি। এরপর সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে ইশ সোধিকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন ইমাম। এ নিয়ে দুই পাকিস্তানি ওপেনারই একই টেস্টে স্টাম্পিং হলেন, তাঁদের ইতিহাসে যে ঘটনা এই প্রথম। ইমামের উইকেটটি সোধির ইনিংসে পঞ্চম। পাকিস্তান ৭ উইকেট হারায় ২০৬ রানের মধ্যে, তখনো তারা দ্বিতীয় ইনিংসে এগিয়ে মাত্র ৩২ রানে।

নিউজিল্যান্ড তখন জয় দেখছিল ভালোভাবেই। তবে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন শাকিল, তাকে সঙ্গ দিলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। প্রথম দিকে ড্র করার মানসিকতাতেই যেন ব্যাটিং করছিলেন তারা, তবে এরপর স্কোরিংয়ের সুযোগ ছাড়েননি।

চা-বিরতির আগে-পরে দুজনের জুটিতে ওঠে ১১১ বলে ৭১ রান। সে জুটি ভাঙেনি ইশ সোধিই, ৪৩ রান করা ওয়াসিমকে এলবিডব্লিউ করে।

তবে শাকিল প্রতিরোধ চালিয়ে যান শেষ ব্যাটসম্যান মীর হামজাকে নিয়েও। ৮১ বল খেলেন দুজন, তোলেন ৩৪ রান। হামজা একাই খেলেন ৩৪ বল। ১৩৭ রানে এগিয়ে থেকে হুট করেই ইনিংস ঘোষণা করে দেন বাবর। ১৫ ওভার বা ১ ঘণ্টায় নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৮ রান।

ডেভন কনওয়ে ও ল্যাথাম অবশ্য এগোচ্ছিলেন রোমাঞ্চকর এক জয়ের দিকেই। ২৪ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ল্যাথাম, কনওয়ে ১৮ রান করেন ১৬ বলে। তবে ৭.৩ ওভার পর আর খেলা চালাতে দেননি আম্পায়াররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *