উত্তর কোরিয়ার কাছে কী ধরনের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র আছে?

সম্প্রতি একের পর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে উত্তর কোরিয়া। কয়েক মাস আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া সফর করে। তার এই সফর উপলক্ষে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। এরপর পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে।

সর্বশেষ শনিবার জাপান সাগরে তিনটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৮টার কিছুক্ষণ পর প্রথম মিসাইলটি নিক্ষেপ করা হয়। এরপর ৮টা ১৪ মিনিটের দিকে একটি এবং এর এক মিনিট পর আরেকটি মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়।

এর মধ্য দিয়ে বছরের শেষ দিনও মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়ে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা অব্যাহত রাখল কিম জং উনের দেশ।

চলতি বছর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত উত্তর কোরিয়া। এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি মিসাইলের যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আঘাত হানার যথেষ্ট সক্ষমতা ছিল। উত্তর কোরিয়ার এসব মিসাইল ব্যালিস্টিক, ক্রুজ ও হাইপারসনিক ক্যাটাগরির।

হাইপারসনিক হচ্ছে এমন ধরনের মিসাইল যা রাডার ফাঁকি দিয়ে শব্দের চেয়ে কয়েকগুণ গতিতে এবং কম উচ্চতায় উড়ে যায়।

জাপানের উপর দিয়ে পরীক্ষিত সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে মধ্যম-পাল্লার হোয়াসং-১২ বলে মনে করা হচ্ছে, যার রেঞ্জ ৪,৫০০ কিলোমিটার। এটি দিয়ে উত্তর কোরিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বীপ গুয়ামে আঘাত সক্ষম।

উত্তর কোরিয়ার কাছে কী ধরনের পরমাণু অস্ত্র আছে?

এর আগে উত্তর কোরিয়া সবশেষ পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে ২০১৭ সালে। পুঙ্গেরি নামের একটি জায়গায় এই পরীক্ষাটি চালানো হয় এবং তাতে ১০০ থেকে ৩৭০ কিলোটন শক্তি তৈরি হয়েছিল।

একটি ১০০ কিলোটনের বোমা ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেলা পরমাণু বোমার চেয়ে ছয়গুণ বেশি শক্তিশালী।

উত্তর কোরিয়া দাবি করে এটি তাদের প্রথম থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র যা সব ধরনের পরমাণু অস্ত্রের চেয়ে শক্তিশালী।

কী কী মিসাইল আছে উত্তর কোরিয়ার কাছে?

উত্তর কোরিয়ার কাছে উচ্চ রেঞ্জের তথা দূরপাল্লার যেসব মিসাইল রয়েছে, সেগুলো হল-

নোডং, যার পরীক্ষিত রেঞ্জ ১,৫০০ কিলোমিটার।

পুকগুকসং-, যার পরীক্ষিত রেঞ্জ ১,৯০০ কিলোমিটার।

পুকগুকসং-২, যার রেঞ্জ ২,০০০ কিলোমিটার।

মুসুদান, যার রেঞ্জ ৪,০০০ কিলোমিটার।

হোয়াসং-১২, যার রেঞ্জ ৪,৫০০ কিলোমিটার।

হোয়াসং-১৪, যার রেঞ্জ ১০,৪০০ কিলোমিটার।

হোয়াসং-১৫, যার রেঞ্জ ১৩,০০০ কিলোমিটার।

হোয়াসং-১৭, যার রেঞ্জ ১৫,০০০ এর বেশি কিলোমিটার।

উল্লেখ্য, এছাড়াও উত্তর কোরিয়ার কাছে স্বল্পপাল্লার মিসাইল রয়েছে, যেগুলো এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়নি। সূত্র: বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *