ব্রাজিলে বামপন্থী লুলার মন্ত্রিসভায় অ্যামাজন বিশেষজ্ঞ

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর নীতি ছিল বন ধ্বংস করে উন্নয়ন। কিন্তু লুলা হাঁটছেন বিপরীত নীতিতে। গত বৃহস্পতিবার নিজের ক্যাবিনেট ঘোষণা করেছেন ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট। নিজের মন্ত্রিসভায় এক অ্যামাজন বিশেষজ্ঞকে রেখেছেন লুলা ডি সিলভা। বিশিষ্ট পরিবেশবিদ এবং অ্যামাজন বিশেষজ্ঞ মারিনা সিলভা দেশের পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন। এদিন লুলা ৩৭ জন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে ১১জন নারী।

ব্রাজিলের নিরিখে রেকর্ড সংখ্যক নারীকে এবার মন্ত্রিসভায় দেখা যাবে। এর আগে লুলা যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখনো পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন মারিনা। তবে ২০০৮ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। লুলার সঙ্গে মতপার্থক্য হওয়ার কারণেই পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।

জাইয়া বলসোনারোর বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে নেমে বামপন্থি লুলা প্রথম থেকেই অ্যামাজন বাঁচানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। লুলা বলেছিলেন, জঙ্গলকাটা রুখতে এবং অ্যামাজনকে বাঁচাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেবেন তিনি। মারিনা এর আগেও দেশের পরিবেশমন্ত্রীর কাজ করেছেন। অ্যামাজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তিনি। মারিনার জন্মও অ্যামাজনে। এক সময় সেখানে রাবার শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি।
অ্যামাজন নিয়ে জাতিসংঘে বক্তৃতা করেছেন মারিনা। গত অক্টোবরে মিসরের পরিবেশ বিষয়ক সভাতেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, সুযোগ পেলে ২০৩০ সালের মধ্যে অ্যামাজন ধ্বংস শূন্যে নামিয়ে আনবেন। লুলার নির্বাচনী প্রচারেও একই কথা বলা হয়েছিল।

বলসোনারোর সময় অ্যামাজন ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছিল সবচেয়ে বেশি। বলসোনারোর ঘোষিত নীতি ছিল, জঙ্গল সাফ করে উন্নয়নের কাজ করতে হবে। লুলা ঠিক তার বিপরীত কাজ করার কথা বলছেন।

আগামী ১ জানুয়ারি শপথগ্রহণ করবেন লুলা দ্য সিলভা। তার পর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবেন তিনি। তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে ব্রাজিলের রাজধানী।

সূত্র : দ্যা গার্ডিয়ান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *