রংপুরে আগুনের উত্তাপ নিতে গিয়ে দগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

শীতের সাথে কনকনে ঠান্ডা বাতাস বইছে রংপুর অঞ্চলে। শৈত্য প্রবাহের হাত থেকে রক্ষা পেতে খড়-কুটা জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিতে গিয়ে শনিবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পাঁচজন রোগী রমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া গত কয়েকদিনে আগুনের উত্তাপ নিতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন দুইজন নারী।

এবার ডিসেম্বরেই দগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে আগুনে পোড়া রোগীর সংখ্যা বাড়বে এমনটাই শঙ্কা করছেন বার্ন ইউনিটের সংশ্লিষ্টরা।

রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ওই ইউনিটে ৫৮ জন আগুনে পোড়া রোগী রয়েছে। এর মধ্যে শীতের হাত থেকে বাঁচতে খড়-কুটা জ্বালিয়ে উত্তাপ নেয়ার সময় রংপুর ও আশপাশ এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৩২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন নারী মারা গেছেন। শনিবার দুপুর পর্যন্ত পাঁচজন নারী-শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগী হাসপাতালের বিছানায় জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছটফট করছেন। এসব রোগীর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শীতের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে আগুনে পোড়া রোগীর সংখ্যা বাড়বে এবং প্রাণহানিও বাড়বে এমনটাই শঙ্কা করা হচ্ছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. এম এ হামিদ জানান, এ পর্যন্ত আগুনের উত্তাপে দগ্ধ দুইজন রোগী মারা গেছেন। প্রতিবছরই আগুন পোহাতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। এজন্য জনগণের সচেনতা প্রয়োজন। আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিচ্ছি শীতের হাত থেকে বাঁচতে যাতে কেউ খড়-কুটা জ্বালিয়ে আগুনের তাপ না নেয়। গরম কাপড় পরিধান করা, আগুন না পোহানো এবং বৃদ্ধ ও শিশুদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘুমাতে যাওয়া ও দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা জরুরি। এ নিয়মগুলো মানলে অগ্নিদগ্ধের সংখ্যা কমবে বলে তিনি মনে করেন।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, শনিবার রংপুর অঞ্চলে স্থান ভেদে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *