গলাকেটে কলেজছাত্রী খুন, সন্দেহের তির মামাতো ভাইয়ের দিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে দিনদুপুরে গলাকেটে কলেজছাত্রী সনিয়া আক্তার (২০) হত্যার ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ সন্দেহ করছে সনিয়ার মামাতো ভাই সজিব আহমদকে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সজিবকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার নগরীর হযরত মানিকপীর (রহ.) কবরস্থানে সনিয়াকে দাফন করা হয়।

রবিবার দুপুরে নগরীর খুলিয়াটুলা নীলিমা আবাসিক এলাকার ১৪ নম্বর বাসা থেকে সনিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সনিয়া দক্ষিণ সুরমার নূরজাহান মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। সে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতো।

পারিবারিক সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের আগের রাতে সনিয়াদের বাসায় রাত্রিযাপন করে তার মামাতো ভাই হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নবীনগরের বাসিন্দা নবী হোসেনের ছেলে সজিব আহমদ। রবিবার সকালে সনিয়া পরিবারের সদস্যদের সাথে নাস্তা করে। এরপর পরিবারের অন্য সদস্যরা সনিয়ার সৎ বাবা সেলিম মিয়াকে দেখতে হাসপাতালে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর সজিবও বাসা থেকে বের হয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে সাড়াশব্দ না পেয়ে সনিয়ার ভাবী তাকে ডাকতে যান। রুমে ঢুকে তিনি সনিয়ার রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ গিয়ে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে এবং রুমের ভেতর থেকে কাপড় কাটার একটি রক্তমাখা কাঁচি জব্দ করে।
সনিয়ার পরিবারের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সজিব জড়িত থাকতে পারে। পুলিশের সন্দেহও একই। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সজিবও গা ঢাকা দিয়ে আছে। সনিয়ার ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার খোয়া গেছে বলে দাবি করছেন পরিবারের সদস্যরা।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, হত্যাকাণ্ডের পর সজিব সিলেট থেকে পালিয়ে গেছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সিলেটের বাইরে তার অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে, সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে সনিয়ার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জানাজা শেষে তাকে হযরত মানিকপীর (রহ.) কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights