অন্য তেলের গায়ে বসুন্ধরার লেবেল লাগিয়ে বিক্রি, দোকানিকে জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক
বসুন্ধরা সয়াবিন তেলের বোতল ও স্টিকার নকল করে ভেজাল তেল বিক্রি করায় রাজধানীর উত্তরা খালপাড় কাঁচাবাজার এলাকার একটি মুদি দোকানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ দুপুরে অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (মেট্রো) মো. আব্দুস সালাম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
বিসমিল্লাহ স্টোর নামের ওই দোকানে নকল করা বসুন্ধরা সয়াবিন তেলের দুই লিটারের ১৮টি বোতল পাওয়া যায়। পরে ওইসব বোতলের লেবেল ছিড়ে খোলা তেল হিসেবে বিক্রির নির্দেশ দেয় ভোক্তা অধিদপ্তর। একইসঙ্গে যে ডিলারের কাছ থেকে ওইসব নকল তেল সংগ্রহ করেছে তাকে সঙ্গে নিয়ে বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক জলিল মিয়াকে আগামী রবিবার ভোক্তা অধিদপ্তরে স্বশরীরে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘অভিযানে দেখা গেছে বসুন্ধরা সয়াবিন তেলের বোতল ও স্টিকার নকল করে খোলা তেল ভরে বিক্রি করছিল ওই দোকানদার। দামও রাখছিল বাজারদরের চেয়ে বেশি। এই অপরাধে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওইসব বোতলের স্টিকার ছিড়ে খোলা তেল হিসেবে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোথা থেকে এই তেল আসছে সেটার ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি। সোর্সিংয়ের তথ্য যাচাই করে শীঘ্রই মূল জায়গায় অভিযান চালানো হবে।’
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, বসুন্ধরা সয়াবিন তেলের দুই লিটার বোতলের খুচরা মূল্য ৩২৬ টাকা। মূল্য লেখা থাকে বোতলের গায়ে। বিসমিল্লাহ স্টোরে পাওয়া বসুন্ধরা সয়াবিন তেলের দুই লিটারের বোতলের দাম লেখা ছিল ৩৬৮ টাকা এবং তা লেখা ছিল স্টিকারের ওপরে। দাম লেখার স্থান ও দামের পার্থক্যের কারণে সহজেই নকলের বিষয়টি সামনে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে দোকানদার জানান, বসুন্ধরা সয়াবিন তেলের ডিস্ট্রিবিউটর থেকে তিনি ৫ লিটারের বোতল নিলেও দুই লিটারের বোতল নেন অন্য ডিলারের কাছ থেকে। সেখানে দামে কম পান। আবার বোতলে খুচরা মূল্য বেশি লেখা থাকায় বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। ৩৬৮ টাকা দাম লেখা থাকায় ক্রেতাকে ৩৪০-৩৫০ টাকায় দিলে তারাও খুশি হয়ে নিয়ে যান। পরে নকল তেল সরবরাহকারী ডিলারকে সঙ্গে নিয়ে বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিককে আগামী রবিবার ভোক্তা অধিদপ্তরে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।